যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ

 সিরিয়ার আসাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের গ্রেফতারি পরোয়ানা

রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ফ্রান্স। বুধবার (১৫ নভেম্বর) আসাদের সঙ্গে তার ভাই ও সেনাবাহিনীর দুই জেনারেলের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে ফরাসি বিচার বিভাগ। সিরীয় ভুক্তভোগীদের আইনজীবী মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

২০১৩ সালে সিরিয়ায় দৌমা ও পূর্ব ঘৌটায় সহস্রাধিক মানুষ নিহত ও হাজারো আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনায় দুটি রাসায়নিক হামলার অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করে প্যারিসের বিচারিক আদালতের মানবতা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের দায়িত্ব থাকা বিশেষায়িত ইউনিট। এই আদালতের সর্বজনীন এখতিয়ার রয়েছে। হামলায় জীবিতদের পক্ষ থেকে ফৌজদারি অভিযোগের পর ২০২১ সালের মার্চে তদন্ত শুরু হয়েছিল।

সিরিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়া অ্যান্ড ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন এই অভিযোগ দায়ের করেছিল। সংস্থাটির পরিচালক মাজেন দারবিশ বলেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ২০১৩ সালের হামলার ভুক্তভোগী, তাদের পরিবার এবং বেঁচে যাওয়াদের জন্য একটি নতুন বিজয়।

এই আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানায় আসাদ ছাড়াও রয়েছেন তার ভাই ডিভিশন কমান্ডার মাহের আসাদ। তাছাড়া সিরীয় সেনাবাহিনীর দুই জেনারেল গাসান আব্বাস ও বাসাম আল-হাসান। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগের ভুক্তভোগী ও এনজিওগুলো প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী জিন সুলজার এবং ক্লিমেন্স উইট এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সুলজার বলেছেন, দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। যা অপরাধের ভয়াবহতার প্রকৃতিকে স্বীকৃতি দিতে আইনের একটি ইতিবাচক বিবর্তনের ইঙ্গিত।

ফ্রান্সের প্রসিকিউটরের কার্যালয় প্রকাশ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা সম্পর্কে মন্তব্য করেনি। ফরাসি আইনে তদন্ত চলমান থাকলে তা গোপন রাখা হয়।

২০১৩ সালের ২১ আগস্ট পূর্ব ঘৌটার তৎকালীন বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত দামেস্ক শহরতলীতে সারিন গ্যাস দিয়ে হামলার জন্য আসাদ সরকারকে দায়ী করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

সিরীয় সরকার এবং দেশটির মিত্ররা দায় অস্বীকার করে দাবি করেছে, হামলাটি বিদেশিদের সামরিক হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করতে বিদ্রোহীরা চালিয়েছিল।