যুদ্ধবিরতির পর ত্রাণের প্রথম বহর ঢুকলো গাজায়

যুদ্ধবিরতির পর প্রথমবারের মতো সীমিত আকারে ত্রাণের বহর প্রবেশ করেছে গাজায়। মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে সীমিত সংখ্যক ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। ত্রাণকর্মীরা এসব ত্রাণ সীমান্ত থেকে গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস)। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। 

পিআরসিএস বলছে, রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ৫০টি ট্রাক  প্রবেশ করেছে। ত্রাণবহরে রয়েছে খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার থেকে ইসরায়েলি সেনারা গাজায় পুনরায় হামলা শুরু করলে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোর প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কোনও জ্বালানি গাজায় প্রবেশ করতে পারেনি।

যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় প্রতিদিন ২০০টির মতো ত্রাণবাহী ট্রাক  প্রবেশ  করেছে।  এর আগে ১০০টিরও কম ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে প্রতিদিন। জাতিসংঘ বলছে, গাজাবাসীর চাহিদা তুলনায় ত্রাণের পরিমাণ সামান্য।  

গাজার অভ্যন্তরে ত্রাণবহর প্রবেশে প্রধান অন্তরায় ইসরায়েলি চেকপয়েন্ট। গত ২১ অক্টোবর থেকে চালু হওয়া এই চেকপয়েন্টে প্রতিটি ট্রাক তল্লাশি করছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল নিশ্চিত করতে চাইছে যেন কোনও ত্রাণবহর হামাসের হাতে না যায়। 

রেড ক্রসের ইন্টারন্যাশনাল কমিটির হিশাম মান্না বলেন, গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি হামলা ফলে ত্রাণ সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। গাজাবাসীর মানবিক সহায়তার জন্য স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দরকার। এতে সামান্য হলেও তাদের দুর্ভোগ কমবে। 

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থা (ওসিএইচএ) শনিবার তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, গাজার মধ্যে মানবিক কার্যক্রম অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে, শুধু আশ্রয়কেন্দ্রে পরিষেবা এবং  গাজার দক্ষিণে আটা সীমিত বিতরণ ছাড়া।

শনিবার, ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে।