নিউইয়র্কে সেতু-টানেল অবরোধ করে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে তিন মাস ধরে চলা যুদ্ধ দ্রুত বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। সোমবার (৮ জানুয়ারি) তারা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের বেশ কয়েকটি সেতু ও টানেল অবরোধ করে এ অবরোধ করেন। এমন খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইস্ট নদীর ওপরে ব্রুকলিন, ম্যানহাটন ও উইলিয়ামসবার্গ ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বসে পড়েন এবং তারা নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। পাশাপাশি তারা হার্ডসন নদীর ওপরে নিউইয়র্ক সিটির সঙ্গে নিউ জার্সির সংযোগকারী হল্যান্ড টানেলও অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

হল্যান্ড টানেল পরিচালনাকারী নিউইয়র্ক সিটি ও নিউ জার্সির বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে নিউ জার্সির লেনগুলো ‘পুলিশের কার্যকলাপের কারণে বন্ধ করা হয়েছে’।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিভিওতে দেখা যায়, নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ, কু ক্লাক্স ক্ল্যান এবং ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীকে উল্লেখ করে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিয়ে বলছেন, ‘এনওয়াইপিডি, কেকেকে, আইডিএফ সবাই একই’।

এ সময় আন্দোলনকারীরা হল্যান্ড টানেলে ‘গাজা অবরোধ তুলে নাও’, ‘এখনই যুদ্ধ বন্ধ করো’ এবং ‘দখল বন্ধ করো’ লেখাসংবলিত বিভিন্ন ব্যানার প্রদর্শন করেন।

এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল ইহুদি ভয়েস ফর পিস, প্যালেস্টাইন ইয়ুথ মুভমেন্ট এবং দ্য নিউইয়র্ক চ্যাপ্টার অব দ্য ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকাসহ অন্যান্য সামাজিক গ্রুপ। 

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, নিউইয়র্ক পুলিশ কর্মকর্তা এক বিক্ষোভকারীকে পিঠের পেছনে হাত আটকে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তিনি বলছেন, ‘গাজার অবরোধের অবসান হওয়া দরকার। এই যুদ্ধ বন্ধ করার প্রতিবাধে প্রয়োজনে আমি রাস্তায় শুয়ে থাকতে প্রস্তুত।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলার পরেই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। এরপর তারা গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা শুরু করে।

২৮ অক্টোবর গাজায় প্রবেশ করে ইসরায়েলের স্থল বাহিনী। বোমা হামলা ও স্থল বাহিনীর হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৬০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬০ হাজার মানুষ।