ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলকে আরব বিশ্বের বার্তা দিলেন ব্লিঙ্কেন

গাজায় যুদ্ধের তীব্রতা কমানোর সর্বশেষ মিশনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আরব দেশগুলোর বার্তা ইসরায়েলের কাছে তুলে ধরেছেন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) তিনি ইসরায়েলি নেতাদের বলেছেন, এখনও আরব দেশগুলো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। যদি তারা একটি কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পথ তৈরি করেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

অক্টোবরের শুরু থেকে মধ্যপ্রাচ্যে চতুর্থ সফরে রয়েছেন ব্লিঙ্কেন। তার অতীতের সফরগুলো সহিংসতার তীব্রতা কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে দুই দিনের সফরে যে-সব আলাপ হয়েছে তা তুলে ধরবেন।

মঙ্গলবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্লিঙ্কেন। ইসরায়েলি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গেও তার বৈঠক করার কথা রয়েছে। 

ইতোমধ্যে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, গাজার বেসামরিকদের সুরক্ষা ও মানবিক ত্রাণ সরবরাহের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপের বিষয়টি তিনি তুলে ধরবেন। সোমবার দিবাগত রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজা থেকে কিছু সেনা প্রত্যাহারে ইসরায়েলকে নীরবে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

মধ্যপ্রাচ্যে ব্লিঙ্কেনের বৈঠকগুলোর মূল এজেন্ডায় রয়েছে গাজা যুদ্ধের অবসানে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ খোঁজা। আরব মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে চায়, এটি ইসরায়েলেরও দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। কিন্তু এমন কিছুর জন্য অবশ্যই একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বাস্তব সম্মত পথ থাকতে হবে।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মঙ্গলবার ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আমি মনে করি প্রকৃত সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন আর কখনও ৭ অক্টোবরের মতো ঘটনা না ঘটে এবং ভিন্ন ও আরও ভালো ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে হবে।

ইতোমধ্যে মার্কিন সহযোগিতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে ২০২০ সালে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে ইসরায়েল। গাজায় যুদ্ধ শুরুর আগে সৌদি আরবের সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপনে কাজ এগিয়ে যাচ্ছিলো।