ইয়েমেনে হুথিদের ওপর আবারও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলা

ইরাক ও সিরিয়ার পর আবারও ইয়েমেনের ইরান–সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যৌথ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ইয়েমেনের ১৩টি জায়গায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

ইয়েমেনে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যৌথ হামলা চালানোর পর হামলার কারণ জানিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ইরান–সমর্থিত হুথিদের বেপরোয়া ও অস্থিতিশীল হামলার সক্ষমতা ধ্বংস করাই এই হামলার উদ্দেশ্য।

১৩টি স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলার কারণ উল্লেখ করে অস্টিন বলেন, হুথিদের ভূগর্ভস্থ অস্ত্র মজুতের স্থান, ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও রাডার রয়েছে এমন স্থানে হামলা করেছে যৌথ বাহিনী।

ইয়েমেনের কোন কোন জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলেনি যৌথ বাহিনী। কিন্তু হুথিদের আল-মাসিরাহ টেলিভিশন সংবাদমাধ্যম বলছে, সানা ও অন্যান্য স্থান লক্ষ্য করে হামলা করেছে পশ্চিমারা।

এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রয়াল এয়ার ফোর্স টাইফুন হামলা ও শত্রুপক্ষের অবস্থান জানার জন্য ড্রোন হামলা করা হয়েছে।

ইয়েমেনে হামলার পর হুথিদের মুখপাত্র নাসর আল দিন আমের বলেন, হুথি, ফিলিস্তিন ও গাজায় শান্তি না থাকলে এ অঞ্চলে আপনারাও শান্তিতে থাকতে পারবেন না।

মার্কিন বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, হুথিদের ছয়টি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে হামলা চালানো হয়েছে। আবার মার্কিন বাহিনী আরও বলেছে, এক দিন আগে ইয়েমেনের কাছে আটটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

গত ২৮ জানুয়ারি জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহতের ঘটনার জবাবে ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স’ নামের ইরাকের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।