গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেও লেবাননের হিজবুল্লাহর ওপর হামলা বাড়াবে ইসরায়েল

গাজা উপত্যকায় হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও লেবাননের হিজবুল্লাহ জঙ্গি গোষ্ঠীর উপর হামলা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা-এপি। 

লক্ষ্য অর্জন হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহর উপর হামলা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

গাজায় যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বারবার হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। গাজায়  হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত, ইসরায়েলের উপর হামলা চালিয়ে যাবার হুমকিও দিয়েছে হিজবুল্লাহ।

তাদের হুমকির জবাবে, ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, কেউ যদি মনে করে গাজার জন্য অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি উত্তর ফ্রন্টেও প্রযোজ্য হবে, তাহলে সে ভুল করবে।

হিজবুল্লাহকে ইসরায়েলের সীমান্ত থেকে দূরে রাখাই তার একমাত্র লক্ষ্য। সেটা কূটনৈতিক চুক্তির মাধ্যমে বা বল প্রয়োগের মাধ্যমে, যেভাবেই হোক না কেন।

হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ এই মাসের শুরুতে বলেছিলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে দলটি দক্ষিণ লেবাননে যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে। তবে তিনি এটাও বলেছিলেন যে, হামাসের সাথে যে কোনও চুক্তির পরে ইসরাইল যদি লেবাননে হামলা চালিয়ে যায়, তবে তারাও আবার হামলা শুরু করবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণ সীমান্তে আক্রমণ করে হামাস। ওইদিন গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তখন থেকেই হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা শুরু করে। হিজবুল্লাহর রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে বিমান হামলা ও কামানের গোলা ছুড়ে মারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এসব হামলায় ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের উভয় পাশেই হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে বেশিরভাগ লড়াই সীমান্তের দুই পাশের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

গত পাঁচ মাস ধরে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান এসব ছোটখাট হামলা-পালটা হামলায় অন্তত ২০০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ৩৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আর ইসরায়েলে ৯ বেসামরিক নাগরিক ও ৯ সেনা নিহত হয়েছে।