গাজায় পৌঁছেছে প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ

সমুদ্রপথে দাতব্য সংস্থা-ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজটি গাজার উপকূলে এসে পৌঁছেছে। শনিবার (১৬ মার্চ) ওপেন আর্মস জাহাজটি উপকূলে এসে পৌঁছায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।  

এক বিবৃতিতে ডব্লিউসিকে জানায়, ত্রাণগুলো জাহাজ থেকে নামিয়ে গাজায় বিতরণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। ক্ষুধার্ত গাজাবাসীদের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে রাতভর কাজ করেছে স্বেচ্ছাসেবী দল।

এর আগে ডব্লিউসিকে’র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিব্রেটি শেফ জোসে আন্দ্রেস এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানান, জাহাজ থেকে ১২টি লরিতে ত্রাণভর্তি বক্সগুলো উঠানো হয়েছে। প্রতিটি ত্রাণ বক্সে মটরশুঁটি, গাজর, টিনজাত শুকনো টুনা মাছ, ছোলা, শুকনো ভুট্টো, সিদ্ধ চাল, ময়দা, তেল, লবণ ও খেজুরের প্যাকেট রয়েছে। রোজায় এই খাবারগুলোই দরকার বলে জানিয়েছেন আন্দ্রেস।

তবে কিভাবে সেগুলো গাজাবাসীদের মধ্যে বন্টন করা হবে, তা সম্পর্কে এখনও কিছু জানাননি আন্দ্রেস।

গাজায় কোন বন্দর নেই। তাই জাহাজ থেকে ত্রাণসামগ্রী নামাতে ডব্লিউসিকে’র দল এক অদ্ভুত ধরনের জেটি নির্মাণ করেছে। পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজটি সাইপ্রাসের বন্দর থেকে সমুদ্রপথে পাঠানো হয়েছে।  ফলে ওই সমুদ্রপথ ব্যবহার করে অন্য জাহাজগুলোও গাজা উপকূলে আসতে পারবে। এর ফলে বিমান ও স্থলপথের চেয়ে দ্রুত গাজায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো সম্ভব হবে।

মার্কিন দাতব্য সংস্থাটিতে অর্থায়ন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর স্প্যানিশ দাতব্য সংস্থা ওপেন আর্মস জাহাজ দিয়ে সাহায্য করেছে। জাহাজটির নামও ওপেন আর্মস।

জাহাজটি গাজার উপকূলে প্রবেশের আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সেটিতে তল্লাশি চালিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হয়েছে অন্তত ৩১ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি। অনাহারে-অর্ধাহারে রোজা রাখছেন লাখো মানুষ। আর ইসরায়েলে নিহত হয়েছ  এক হাজার ২০০ মানুষ।