গাজা ইস্যুতে কায়রোতে সিসি-ব্লিঙ্কেন বৈঠক

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। বুধবার সৌদি আরব সফর শেষে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) কায়রোতে তিনি বৈঠক করেছেন মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে। মার্কিন রিপাবলিকানদের সঙ্গে আলাপে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন বলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলার পর কায়রোতে ব্লিঙ্কেন-সিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

গাজায় আল শিফা হাসপাতালকে কেন্দ্র করে টানা চতুর্থ দিনের মতো ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উপত্যকার উত্তরে আংশিক চালু থাকা একমাত্র হাসপাতাল এটি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, হাসপাতাল ভবনের ভেতরে আগুনের শিখা দেখতে পেয়েছেন তারা।

বুধবার সৌদি আরবে অবতরণের মধ্য দিয়ে ব্লিঙ্কেনের ষষ্ঠ দফা মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু হয়। রিয়াদে তিনি সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো নেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

জাতিসংঘের মতে, গাজার ২৩ লাখ মানুষ খাদ্য ঘাটতিতে রয়েছে এবং কিছু এলাকায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

ব্লিঙ্কেন বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তিকে জড়িত করে অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য আমরা কাজ করছি। এর ফলে গাজার শিশু, নারী ও পুরুষদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হবে। 

তিনি বলেছেন, এ জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত সপ্তাহে ইসরায়েল হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর চলতি সপ্তাহে আবারও কাতারে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষ ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে। যে সমঝোতার আওতায় হামাসের হাতে থাকা ৪০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তির বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা কয়েক শ’ ফিলিস্তিনি বন্দিও মুক্তি পেতে পারেন।

তবে হামাস বলেছে, যুদ্ধের ইতি ঘটবে এমন কোনও সমঝোতার অংশ হিসেবে কেবল জিম্মিদের মুক্তি দেবে তারা। আর ইসরায়েল বলছে তারা শুধু অস্থায়ী বিরতি নিয়ে আলোচনা করবে।

ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আমি মনে করি ব্যবধান কমছে। আমি মনে করি একটি চুক্তি সম্ভব। আলোচনায় অংশ নেওয়া ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের চুক্তিতে পৌঁছানোর মতো এখতিয়ার রয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মিসরীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, ব্লিঙ্কেন ও সিসি আলোচনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন।

গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় একটি চুক্তির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন সিসি। রাফাতে সামরিক অভিযানের বিপদ নিয়েও তিনি সতর্ক করেছেন।