ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই কাতারে ধুঁকছে যুদ্ধবিরতি আলোচনা

গাজার খান ইউনিসের আল-আমাল হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এক স্বেচ্ছাসেবী নিহত হয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) আবারও ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে একমত হতে পারেননি হামাস ও ইসরায়েলি প্রতিনিধিরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের আল-কুয়েত গোলচত্বরে অপেক্ষা করছিল ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা। তাদের ভিড়ের মধ্যেই ভারি অস্ত্র ও বন্দুক দিয়ে অবিরাম গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। আহত কমপক্ষে ২৩ জন।

শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আহতদের স্থানীয় আহলি আরাব হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে, তাই অনেককেই খোলা আকাশের নীচেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, কাতারের রাজধানী দোহায় গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার কোন অগ্রগতি হয়নি। হামাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের নতুন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির সময়কাল এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি নিয়ে একমত হতে পারেনি ইসরায়েল ও হামাস।

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায় হামাস। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিন থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে তারা। বিনিময়ে পর্যায়ক্রমে ১০০ ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে।

আর ইসরায়েলি প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ২০০০ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিকে ঘরে ফিরতে দেবে তারা। এতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের রাফাহ শহর ছাড়তে অন্তত ২ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে প্রহসন বলে উল্লেখ করেছে তারা।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি অভিযানে অন্তত ৩২ হাজার ১৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৭৪ হাজার ৪১২ জন। আর হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।