আমিরাতে ইসরায়েলের উপস্থিতি তেহরানের জন্য হুমকি: ইরান

ইরানের অভিজাত বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এক কমান্ডার বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসরায়েলের উপস্থিতি তেহরানের জন্য একটি হুমকি এবং এমনটি হওয়া উচিত না। মঙ্গলবার এই বাহিনীর নৌ কমান্ডার আলিরেজা টাঙ্গসিরি এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

আলিরেজা টাঙ্গসিরি বলেছেন, আমরা জানি যে জায়নবাদীদের (ইসরায়েল) সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আনা হয়নি। তাদেরকে আনা হয়েছে নিরাপত্তা ও সামরিক কাজের জন্য। এটি আমাদের জন্য হুমকি। এমনটি হওয়া উচিত না।

টাঙ্গসিরি আরও বলেছেন, উপসাগরীয় অঞ্চলে ইসরায়েলের কোনও স্থান নেই। তবে ইসরায়েলের উপস্থিতির বিরুদ্ধে ইরান কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে কি না তা সম্পর্কে কোনও ইঙ্গিত তিনি দেননি।

তিনি বলেছেন, আঘাত পেলে পাল্টা আঘাত না করে আমরা বসে থাকব না। পাল্টা পদক্ষেপ নিতে আমরা দেরি করি না।

১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে একটি ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত। এদের মধ্যে একজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার ছিলেন।

দূতাবাসে হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে ইরান। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকেও একটি সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে তেহরান। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি ও মার্কিন সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে ইরান। সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে দেশ দুটি।

পারস্য উপসাগরের দুই পাশে ইরান ও আমিরাত অবস্থিত। গত ৩০ বছরের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরব দেশ আমিরাত। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে দেশটি সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। তেহরানের সঙ্গেও দেশটির বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।

আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করায় এই পথ ধরে আরও কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে।