ইরানি প্রতিশোধের হুমকি

ইসরায়েলে মার্কিন কূটনীতিকদের চলাচলে বিধিনিষেধ, ভ্রমণ সতর্কতা ফ্রান্সের

ইরানি হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলে নিজেদের দূতাবাসের কূটনীতিক ও কর্মীদের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মার্কিন দূতাবাস নিজেদের কর্মীদের ওপর এই বিধিনিষেধ জারি করেছে। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স নিজেদের নাগরিকদের ইসরায়েল ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে। ইরান থেকে ফ্রান্স নিজেদের দূতাবাস কর্মীদের পরিবারগুলোকে সরিয়ে নিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের বলেছে, বৃহত্তর জেরুজালেম, তেল আবিব বা বিরসেবা এলাকার বাইরে না যাওয়ার জন্য। ইরানের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে দুই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, শুক্রবার ইরানি হামলা হতে পারে।

এক অজ্ঞাত কর্মকর্তা বলেছেন, এই হামলায় শতাধিক ড্রোন, কয়েক ডজন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও হয়ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে সামরিক স্থাপনাকে নিশানা করা হতে পারে।

 

ভ্রমণে বিধিনিষেধের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এমন বিধিনিষেধের পেছনে থাকা নির্দিষ্ট পর্যালোচনা আমরা প্রকাশ করি না। মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশেষ করে ইসরায়েলে হুমকির পরিবেশ আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ইসরায়েলে ভ্রমণ সতর্কতা হালনাগাদ করেছে। দেশটিও ইসরায়েলি ভূখণ্ডে সম্ভাব্য ইরানি হুমকির কথা উল্লেখ করেছে।

একইভাবে ফ্রান্সও দেশটির নাগরিকদের আসন্ন দিনগুলোতে ইরান, লেবানন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ভ্রমণ না করতে সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে। ইরানের ফরাসি দূতাবাসের কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর আগে রাশিয়াও নিজেদের নাগরিকদের এসব দেশ ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছিল।

১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেট ভবনে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সাত সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এদের মধ্যে একজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার ছিলেন। তেহরান এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

 

প্রতিশোধমূলক হামলার রূপ কী হবে বা বা এটি সরাসরি ইরান থেকে বা দেশটির কোনও প্রক্সি গোষ্ঠীর মাধ্যমে হবে তা স্পষ্ট নয়।

রবিবার একজন ইরানি কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছিলেন, ইসরায়েলের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়। তার এই বক্তব্য ইসরায়েলি কোনও কনস্যুলেট ভবন লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বলেছেন, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে সরাসরি ইরানি আক্রমণ হলে ইরানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ইসরায়েলের পাল্টা হামলা প্রয়োজন।