রাফাহতে ইসরায়েলি হামলা ঠেকাতে ডেমোক্র্যাটদের চাপের মুখে বাইডেন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে ইসরায়েলি হামলা ঠেকাতে মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের চাপের মুখে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার (১ মে) একটি চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়ে বাইডেনকে নতুন করে চাপ দেন তারা। শহরটিতে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় অর্ধেকই আশ্রয় নিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের ২১২ ডেমোক্র্যাটের মধ্যে ৫৭ জন ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। চিঠিতে তারা মিসরের সীমান্তবর্তী শহরটিতে পূর্ণ মাত্রার হামলা চালানো থেকে নেতানিয়াহু সরকারকে বিরত রাখতে বাইডেন প্রশাসনকে সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘রাফাহতে পূর্ণ মাত্রার হামলা ঠেকাতে আমরা আপনাকে অবিলম্বে বিদ্যমান আইন ও নীতির আওতায় ইসরায়েলি সরকারের জন্য বরাদ্দ কিছু আক্রমণাত্মক সামরিক সহায়তা স্থগিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। এর মধ্যে, ইতোমধ্যে আইনে স্বাক্ষরিত হওয়া সহায়তা প্যাকেজও রয়েছে।’

প্রতিনিধি প্রমিলা জয়পাল এবং ম্যাডেলিন ডিনের নেতৃত্বে পাঠানো এই চিঠি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য হোয়াইট হাউজের সঙ্গে যোগাযোগ করে রয়টার্স। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, রাফাহ শহরের বেসামরিকদের রক্ষা করবে ইসরায়েলের প্রতিশ্রুত এমন কোনও হামলার পরিকল্পনা এখনও দেখতে পাননি তিনি। তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের হামলাকে সমর্থন করতে পারে না।

বুধবার জেরুজালেমে ঘণ্টাখানেকের মতো বৈঠক করেছিলেন ব্লিঙ্কেন এবং নেতানিয়াহু। এই বৈঠকের পরই রাফাহতে হামলা চালানোর প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি করেছিল ইসরায়েল।

ইসরায়েলের প্রধান কূটনৈতিক সমর্থক এবং অস্ত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ইসরায়েলকে সতর্ক করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, বেসামরিক ক্ষতি, মানবিক দুর্ভোগ এবং ত্রাণকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েল ব্যর্থ হলে ওয়াশিংটনের নীতি পরিবর্তন হতে পারে। এমন হুঁশিয়ারির প্রায় এক মাস পরই ইসরায়েল সফর এসেছিলেন ব্লিঙ্কেন।