সোমবারের ওই আত্মঘাতী বোমা হামলাটি আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে মাত্র কয়েকশ মিটার দূরে জনবহুল রাস্তায় চালানো হয়। রাজধানীর প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্রে এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় হামলার ঘটনা এটি। এতে ৩৭ জন নিহত হন।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, দুই হামলাকারীর একজন নারী। তিনি ২০১৩ সালে পিকেকেতে যোগ দেন। ১৯৯২ সালে পশ্চিম তুরস্কের কারস শহরে তার জন্ম হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ঘটনাস্থলে দুই হামলাকারী উপস্থিত হন। এদের একজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের বিচ্ছিন্ন হওয়া হাত পাওয়া বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে। ১৭ ফেব্রুয়ারি হামলায় যে ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল রবিবারও একই ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারির হামলায় ২৯ জন নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের বেশিরভাগই ছিলেন সেনা সদস্য।
প্রায় দুই বছরের অস্ত্রবিরতি চুক্তি গত বছর জুলাইয়ে ভেঙে পড়লে কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চল তুরস্কের দক্ষিণে সহিংসতা বৃদ্ধি পায়। পিকেকে যোদ্ধাদের দাবি তারা কুর্দিদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। পিকেকে মূলত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। এ অঞ্চলের অনেক কারফিউ জারি আছে। সূত্র: রয়টার্স।
/এএ/