গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলা, চিকিৎসাধীন হামাস নেতা নিহত 

গাজার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের এক শীর্ষ নেতা ইসমাইল বারহুম ও তার সহকারী নিহত হয়েছেন। রবিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হামাসের এক কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছেন বারহুম।   

ইসমাইল বারহুম হামাসের অর্থ-বিষয়ক প্রধান ছিলেন। গাজার খান ইউনিসের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন তিনি। 

হামাসের ওই কর্মকর্তা জানান, চার দিন আগে ইসরায়েলের এক বিমান হামলায় আহত হওয়ার পর, তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘বিস্তৃত গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের পর’ তারা হাসপাতালের ভেতরে অবস্থানরত এক শীর্ষ হামাস সদস্যকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তারা আরও জানায়, ‘নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে যাতে ক্ষতি সীমিত রাখা যায়।'

তবে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় চিকিৎসাকর্মীসহ অন্য অনেকে আহত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, হামলার পর হাসপাতালের যে বিভাগটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা খালি করা হয়েছে। 

বিবিসির যাচাই করা ফুটেজে দেখা গেছে, হামলার পর লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

ইসরায়েল বারবার অভিযোগ করে আসছে, অস্ত্র ও কমান্ড সেন্টার আড়াল করার জন্য হাসপাতাল ব্যবহার করছে হামাস। তবে ইসরায়েলের এ অভিযোগ হামাস অস্বীকার করে আসছে।

বিবিসিকে হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রবিবার খান ইউনিসে আলাদা এক ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরেক হামাস নেতা সালাহ আল-বারদাউইল নিহত হয়েছেন।

হাসপাতাল হামলার আগেই, রবিবার সকাল পর্যন্ত খান ইউনিস ও রাফায় বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রায় দুই মাস স্থায়ী হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েল গত ১৮ মার্চ গাজায় সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করে। সেই থেকে চালানো হামলায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাস নতুন এক মার্কিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তারা হামলা পুনরায় শুরু করেছে। অন্যদিকে হামাস অভিযোগ করেছে যে, ইসরায়েল জানুয়ারিতে করা মূল চুক্তি থেকে সরে এসেছে।