ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর এক কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) লেবাননি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই হামলা ইসরায়েল ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে নাজুক যুদ্ধবিরতিকে আরও কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নিহত কর্মকর্তা হাসান বদেইর হিজবুল্লাহর একটি ইউনিট ও ইরানের কুদস ফোর্সের সদস্য ছিলেন। তিনি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসকে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ‘গুরুত্বপূর্ণ ও আসন্ন সন্ত্রাসী হামলার’ পরিকল্পনায় সহায়তা করছিলেন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন। হামলায় সাতজন আহত হয়েছেন।
এই হামলা বৈরুতে হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পাঁচ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ইসরায়েলি বিমান হামলা, যা মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতিকে আরও হুমকির মুখে ফেলছে।
এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসরায়েল দুই মাসের যুদ্ধবিরতির পর গাজায় আবার হামলা শুরু করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের হুথিদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
হিজবুল্লাহর সংসদ সদস্য ইব্রাহিম মুসাভি এই হামলাকে ‘গুরুতর আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, ‘এটি পরিস্থিতিকে সম্পূর্ণ নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে।’
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘এটি একটি বিপজ্জনক সতর্কবার্তা, যা লেবাননের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত আগ্রাসনের ইঙ্গিত দেয়।’
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম এই হামলাকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন।