ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল আক্রমণ করলে তেহরান পাল্টা জবাব দেবে। রবিবার (৪ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে এমন হুঁশিয়ারি দেন নাসিরজাদে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
নাসিরজাদে বলেন, ‘এই যুদ্ধ যদি যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল শুরু করে, তাহলে ইরান তাদের স্বার্থ, ঘাঁটি এবং বাহিনীগুলোর ওপর হামলা চালাবে—সেটি যেখানেই হোক এবং যখনই প্রয়োজন বলে মনে করবে।’
রবিবার ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়নের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি গোষ্ঠী। এ ঘটনার পর ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর হামলার হুমকি দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু বলেন, ‘হুথিদের হামলার উৎস ইরান। আমাদের প্রধান বিমানবন্দরের ওপর হুথিদের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল এবং উপযুক্ত সময় ও স্থানে তাদের ইরানি সন্ত্রাসী আস্থাবানদেরও জবাব দেওয়া হবে।’
নেতানিয়াহুর ওই হুমকির পর নাসিরজাদের এই মন্তব্য আসে।
নাসিরজাদে ইরানের সরকারিভাবে প্রচারিত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, হুথিরা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে কাজ করে।
নাসিরজাদে আরও বলেন, ‘ইরানের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই।’ তবে ইরানের ওপর আক্রমণ হলে ওই অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলো লক্ষ্যবস্তু হবে।
ইরান-সমর্থিত হুথিরা বলছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানাতেই তারা হামলা চালাচ্ছে।
ইরান-ঘনিষ্ঠ হুথিরা হামাস যোদ্ধাদের সমর্থনে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র ১৫ মার্চ থেকে ইয়েমেনে হুথিদের ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেছেন, হুথিদের যেকোনও হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করা হবে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নাসিরজাদের এই বক্তব্যের আগে রবিবার ইরান নতুন একটি কঠিন জ্বালানিচালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে যার নাম ‘কাসেম বাসির’। এর পাল্লা এক হাজার ২০০ কিলোমিটার।