ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পুরোপুরি পরাস্ত করতে গাজায় ধাপে ধাপে সামরিক অভিযানের তীব্রতা বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা ক্যাবিনেট। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ব্যক্তির বরাতে ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম ক্যান এই খবর সোমবার (৫মে) প্রচার করেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রবিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল যামির বলেছেন, গাজায় সামরিক অভিযান বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইতোমধ্যে সংরক্ষিত বাহিনীর (রিজার্ভ ফোর্সেস) হাজার হাজার সদস্যকে ফোন করে তলব করা হয়েছে।
বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে হুথি বিদ্রোহীদের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের কয়েকঘণ্টা পর, রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান,গাজায় যুদ্ধের পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনা করতে নিরাপত্তা ক্যাবিনেটের বৈঠক ডেকেছেন তিনি।
পৃথক এক বক্তব্যে, সেনাবাহিনীর উদ্দেশে যামির বলেছেন, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে এবং হামাসকে পরাজিত করতে আমরা সামরিক চাপ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রায় ১৫ মাস সংঘর্ষের পর, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গৃহীত যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হলে, ১৯ জানুয়ারি থেকে সাময়িকভাবে হানাহানি বন্ধ হয়। তবে মাস দুয়েকের মধ্যে এই চুক্তি ভেঙে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তাদের অভিযোগ, চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে হামাস।
গতকালের সভায়, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণে একটি নতুন পরিকল্পনাও অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের ইয়ানেট নিউজ। তবে এই পরিকল্পনা কবে বাস্তবায়িত হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।
যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার পর থেকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ প্রবেশেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে ইসরায়েল। তাদের অভিযোগ, বেসামরিকদের জন্য প্রেরিত ত্রাণসামগ্রী হামাসের সদস্যরা ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের শক্তিশালী করছে।
মার্চ থেকে এই প্রতিবন্ধকতা দিয়ে রেখেছে তেল আবিব। এটি তুলে নেওয়ার জন্য তাদের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গাজার প্রায় এক তৃতীয়াংশ এলাকা এখন ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে রয়েছে।