ব্রিটিশ কূটনীতিককে তলব করলো ইরান

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটির কয়েকজন নাগরিককে গ্রেফতারের ঘটনাকে ‘সন্দেহজনক ও অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে যুক্তরাজ্যের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে। রবিবার রাতে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইরান বলেছে, গত কয়েকদিন আগে যুক্তরাজ্য প্রমাণ ছাড়াই কয়েকজন ইরানি নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে, সময়মতো ইরানের দূতাবাসকে জানায়নি এবং কনস্যুলার সুবিধা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক রীতিনীতির লঙ্ঘন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। 

ইরান আরও অভিযোগ করেছে, ব্রিটিশ সরকারের এই গ্রেফতারের পেছনে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। এর জবাবে যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র দফতর ইরানের রাষ্ট্রদূত আলী মৌসাভিকে তলব করে জানায়, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে তিন ইরানি নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষাই আমাদের অগ্রাধিকার এবং ইরানকে তার কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। 

এই কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই গত শুক্রবার ব্রিটিশ পুলিশ ২০২৩ সালের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে তিন ইরানি নাগরিককে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত করে। ৩৯ বছরের মোস্তফা সেপাহভান্দ, ৪৪ বছরের ফরহাদ জাভাদি মানেশ ও ৫৫ বছরের শাপুর কালেহালি খানি নূরিকে ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাকে সহায়তা করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। শনিবার ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তাদের হাজির করা হয়, যেখানে তাদের ওপর নজরদারি ও সহিংসতা সংক্রান্ত অতিরিক্ত অভিযোগ আনা হয়। তাদের মামলা সেন্ট্রাল ক্রিমিনাল কোর্টে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী জুনে পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে। 

মে মাসে দুটি পৃথক অভিযানে আট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়, যাদের মধ্যে সাতজন ইরানি। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেছেন, এটি গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের তদন্ত। চার ইরানি নাগরিককে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানে আটক করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। অপর একজনকে গত সপ্তাহে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।