ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে ইসরায়েলি সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের সাবেক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর গতি বেড়ে যাওয়ায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে না প্রস্তুতির জন্য। যার ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় তারা মাত্র ৬৫ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে পেরেছে। যেখানে আগের দিন এই হার ছিল ৯০ শতাংশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা জানান, ইরান এখন আরও উন্নত গাইডেন্স সিস্টেম এবং দ্রুতগামী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে। এই কারণে সতর্কতা জানানোর সময় ১০ মিনিট থেকে কমে ৬ মিনিটে নেমে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ইরান এখন ক্ষেপণাস্ত্রের চূড়ান্ত পর্যায়ে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য আলাদা নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহার করছে। যেমনটি বেয়ারশেভার হাসপাতালে করা হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ইরান সর্বশেষ হামলায় একটি একাধিক ওয়ারহেডযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। যা দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ। ইসরায়েলি আর্মি রেডিওকে দুজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গুশ ডানে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রটি কয়েকটি ছোট ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ছিল।
ইসরায়েলি পত্রিকা মারিভ জানিয়েছে, ইরান সম্প্রতি যে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে সেটির ওয়ারহেডের ওজন শাহাব-৩ এর চেয়ে অনেক বেশি। এটি প্রায় এক টনের বেশি বিস্ফোরক বহন করতে সক্ষম।
ইসরায়েলি অভিযানে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হলেও ইরান এখনও প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর মতো পর্যাপ্ত অস্ত্রভাণ্ডার ও সক্ষমতা ধরে রেখেছে বলে জানিয়েছেন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, তেহরান এখন কৌশলগত ধৈর্যের অবস্থানে আছে। যারা মনে করছে ইরানি সরকার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তারা ভুল করছেন।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড