ইরান-ইসরায়েল সংঘাত

যুদ্ধবিরতির খবরে তেলের দাম কমলো প্রায় ৫ শতাংশ

দুই সপ্তাহব্যাপী উত্তেজনার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রায় ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম কমে ব্যারেল প্রতি দাঁড়ায় ৬৮ ডলারে। যা ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর আগের চেয়েও কম। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর। এরপর ইসরায়েল নিশ্চিত করে যে তারা এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এর পরপরই ইউরোপ, যুক্তরাজ্য ও এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়।

গত কয়েক দিনে ইরান হরমুজ প্রণালিতে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার আশঙ্কায় তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮১ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল জ্বালানি, খাদ্য ও ব্যবসায়িক খরচেও।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক বাজার বিশ্লেষক প্রিয়াঙ্কা সচদেবা বলেন, যদি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে তেলবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাস্তবে ইরান ও ইসরায়েল কতটা আন্তরিকভাবে যুদ্ধবিরতির শর্ত মানে, সেটাই মূল নিয়ামক হবে।

তবে এ স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী না-ও হতে পারে। মঙ্গলবার ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

তেলের দামের পাশাপাশি ইউরোপের শেয়ারবাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। যুক্তরাজ্যের এফটিএসই ১০০ সূচক ০.৪ শতাংশ বেড়েছে, ফ্রান্সের সিএসি-৪০ সূচক ১.৪ শতাংশ এবং জার্মানির ড্যাক্স সূচক ২ শতাংশ পর্যন্ত উর্ধ্বমুখী হয়।

এশিয়ার বাজারেও জাপানের নিকেই সূচক ১.১ শতাংশ এবং হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক ২.১ শতাংশ বেড়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা চলতে থাকলে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম আবারও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর প্রভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

এরই মধ্যে মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে পাইকারি গ্যাসের দাম ১২.৫ শতাংশ কমে গেছে। কারণ, কাতার থেকে ইউরোপে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পরিবহনে আর হুমকি নেই বলেই ধারণা করা হচ্ছিল।

এর আগে সোমবারযুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক হামলার জবাবে ইরান কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।