ইরান যুদ্ধ গাজায় জিম্মি মুক্তির পথ খুলে দিয়েছে: নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের সঙ্গে ১২ দিনব্যাপী যুদ্ধ তাদের জন্য কিছু সুযোগ তৈরি করেছে। রবিবার (২৯ জুন) ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের এক নিরাপত্তা স্থাপনায় সফরকালে নেতানিয়াহু বলেন, এই যুদ্ধের যার প্রধান ও প্রথম ধাপ হচ্ছে গাজায় হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্ত করা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি আপনাদের জানাতে চাই, এই বিজয়ের পর অনেক নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে—অনেক সুযোগ।

প্রথমত, জিম্মিদের উদ্ধারের সুযোগ। অবশ্যই আমাদের গাজা সমস্যা সমাধান করতে হবে। হামাসকে পরাজিত করতে হবে। তবে আমি মনে করি আমরা দুটি কাজই সফলভাবে করতে পারব।’

এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে এখনও গাজায় আটকে থাকা ৫০ জিম্মির মুক্তির জন্য প্রচারকারীরা। তারা বলেছে, ২০ মাস পর প্রধানমন্ত্রী অবশেষে জিম্মিদের মুক্তিকে শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছেন—এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

এখন এটিকে একটি সমন্বিত ও পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে রূপ দিতে হবে, যাতে সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা যায় এবং গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটে।’

ইসরায়েলের মতে, ওই ৫০ জিম্মির মধ্যে মাত্র ২০ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হয়।

ট্রাম্প শনিবার বলেছিলেন, নেতানিয়াহু বর্তমানে হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন। যদিও কেউই বিস্তারিত কিছু জানাননি এবং উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা এখনই একটি যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুযায়ী, একটি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং অর্ধেক জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি ও নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হতে পারে। এরপর স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা হলে বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস।

রবিবারও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকা খালি করতে ফিলিস্তিনিদের নির্দেশ দিয়েছে। কারণ সেখানে হামাসের বিরুদ্ধে নতুন অভিযান চালানো হবে।

এক হামাস কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, দলটি মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে যে তারা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ফিরতে প্রস্তুত, তবে তাদের পুরোনো দাবি রয়েছে—যে কোনও চুক্তির আওতায় যুদ্ধ শেষ ও ইসরায়েলি বাহিনীকে গাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে যেতে হবে।

ইসরায়েল বলছে, হামাসকে নিরস্ত্র ও ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না।

অন্যদিকে হামাস অস্ত্র পরিত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।