ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশের সাংবাদিক হত্যাকারীরা: সিপিজে

বাংলাদেশে সাংবাদিক ও ব্লগারদের হত্যাকারীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত এক দশকে সাত সাংবাদিক নিহত হলেও মাত্র একটি মামলায় হত্যাকারীদের সাজা হয়েছে। বাকি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কোনও অভিযোগ এখন পর্যন্ত গঠন করতে পারেনি। মঙ্গলবার প্রকাশিত ১০ম গ্লোবাল ইমপিউনিটি ইনডেক্স-২০১৭ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।

সিপিজে লোগো
প্রতিবেদন অনুসারে, সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে দশম স্থানে। শীর্ষে অবস্থান করছে সোমালিয়া। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রতিবেশী ভারত রয়েছে তালিকার ১২তম স্থানে। আর পাকিস্তানের অবস্থান সপ্তম।
সিপিজে’র প্রতিবেদন অনুসারে, গত এক দশকে বাংলাদেশে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ৭ জন। এসব হত্যাকাণ্ডে চরমপন্থী ও অপরাধী গোষ্ঠী জড়িত। হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন সেক্যুলার ব্লগার ও মাদক পাচার নিয়ে প্রতিবেদন করা সাংবাদিকরা।
তদন্তের অগ্রগতি হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর নভেম্বর মাসে পুলিশ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক সদস্যকে গ্রেফতার করে। ওই সদস্য দুই ব্লগার নিলয় নীল ও ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ২০১৫ সালের পর থেকে ব্লগার ও সম্পাদকদের ওপর হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু ২০১৩ সালে নিহত আহমেদ রাজিব হায়দার হত্যা মামলায় ক্ষেত্রে হত্যাকারীদের সাজা হয়েছে।
সিপিজের প্রতিবেদনে ২০১৫ সালে ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হলেও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
দীর্ঘ দিন ধরে  গৃহযুদ্ধ কবলিত  সোমালিয়ায় গত এক দশকে দুই ডজন সাংবাদিক হত্যা করা হয়েছে।  ৬ বছরের গৃহযুদ্ধে সিরিয়া সাংবাদিক নির্যাতনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।  তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইরাক। গত কয়েক বছর আফগানিস্তানের নাম প্রথমদিকে থাকলেও এবার দেশটির নাম নেই। সিপিজে জানিয়েছে, দেশটিতে সাংবাদিক হত্যার পরিমাণ কমেছে।