জাসিন্ডা আরডার্নকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে পিটিশন

নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে মুসল্লিদের ওপর বন্দুকধারীর হামলায় ৫০ জন নিহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের ভূমিকা ও নেতৃত্ব বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে। এবার তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে অনলাইনে দুটি পিটিশন চালু হয়েছে। নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ডের এক খবরে বিষয়টি জানা গেছে।

11350940-6841483-image-a-16_1553314195456

চারদিন আগে চেঞ্জ ডট ওআরজিতে চালু হওয়া পিটিশনটিতে ৩ হাজারের বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে। আর ফরাসি ওয়েবসাইট আভাজ ডট ওআরজিতে ১ হাজারের সামান্য বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে। 

ফরাসি ওয়েবসাইটের পিটিশনে বলা হয়েছে, ক্রাইস্টচার্চের মর্মান্তিক ঘটনার পর নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পরিমিতি, শান্তিপূর্ণ ও খোলা মনের পদক্ষেপের কারণে আমরা আশা করি আসন্ন নোবেল শান্তি পুরস্কার তাকে প্রদান করা হবে।

খবরে বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে ফরাসি কবি ড. খাল তোরাবালি এ পিটিশনটি চালু করেছেন।

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার পর আরডার্নের প্রতিক্রিয়া, বিবৃতি ও পদক্ষেপের ব্যাপারে বিশ্বজুড়ে প্রশংসা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের পর্যবেক্ষকরা তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। প্রশংসা কেবল বাখ্যা বিশ্লেষকদের কাছ থেকেই আসছে তেমনটি নয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান শুক্রবার বলেছেন, ‘হামলার পর নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের প্রতিক্রিয়া ও সহমর্মিতা বিশ্বনেতাদের কাছে একটি উদাহরণ।’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সাল বলেছেন, আরডার্ন পাকিস্তানিদের 'হৃদয় জয়' করেছেন। মার্টিন লুথার কিংয়ের স্মৃতি সংরক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত মার্টিন কিং সেন্টার টুইটারে লিখেছে- ‘নিউ জিল্যান্ডে একজন নেতার ভালোবাসার পূর্ণাঙ্গ প্রদর্শনী’।