গাজায় ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের দুই কট্টর ডানপন্থি মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ও বেজালেল স্মোত্রিচের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ব্রিটেন। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দেয়। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও নরওয়েও একই নিষেধাজ্ঞায় শরিক হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও অন্যান্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বেন-গভির ও স্মোত্রিচ চরমপন্থি সহিংসতা ও ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনে উস্কানি দিয়েছেন। এসব কর্মকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়। এজন্যই আমরা দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে এখনই ব্যবস্থা নিয়েছি।
নিষেধাজ্ঞার ফলে এই দুই মন্ত্রীর বিদেশে ভ্রমণ ও বিদেশি সম্পদ হিমায়িত হবে। বেন-গভির ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী এবং স্মোত্রিচ অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উভয়েই পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের পক্ষে সোচ্চার।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সা’আর এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, আগামী সপ্তাহের শুরুতে সরকারের বিশেষ বৈঠক ডেকে অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তের জবাব ঠিক করা হবে।
স্মোত্রিচ হিব্রুন পাহাড়ে নতুন একটি বসতি উদ্বোধনের সময় ব্রিটেনের পদক্ষেপকে ‘তুচ্ছ’ উল্লেখ করে বলেন, ব্রিটেন একবার আমাদের মাতৃভূমি পুনর্দখল করতে বাধা দিয়েছিল, এবারও তারা তা করতে পারবে না। আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছায় নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাব।
গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটেনসহ ইউরোপীয় দেশগুলো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের ওপর গাজায় মানবিক সহায়তা অবরোধ তুলে নেওয়ার চাপ বাড়াচ্ছে।
যৌথ বিবৃতিতে মিত্রদেশগুলো বলেছে, তারা ইসরায়েলের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একইসঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি, সহায়তা বৃদ্ধি ও দুই রাষ্ট্রের সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।