ক্রাইস্টচার্চে গুলিবিদ্ধ তুর্কি নাগরিকের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫১

নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় গুলিবিদ্ধ এক তুর্কি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তুর্কি নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় ১৫ মার্চের ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ জনে। নিউ জিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম স্টাফ এ খবর জানিয়েছে।

1556840681365

১৫ মার্চ (শুক্রবার) ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুক হামলা চালায়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, গুলি চালিয়ে ৫০ জন মুসল্লিকে হত্যা করে ট্যারান্ট। নির্বিচার হামলার দায়ে ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী’ ব্রেন্টন ট্যারান্টের বিরুদ্ধে ৮৯টি অভিযোগ এনেছে নিউ জিল্যান্ডের পুলিশ।  ৫ এপ্রিল (শুক্রবার) আদালতে তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের দায়ে ৫০টি আর হত্যা প্রচেষ্টার দায়ে ৩৯টি অভিযোগ আনা হবে। পরবর্তীতে ট্যারান্টের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনার বিষয়টিও বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।

নিউ জিল্যান্ডের পুলিশ জানায়, তুর্কি নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়ে তাদের অবহিত করা হয়েছে। হামলার পর থেকেই ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিল। আদালতের নির্দেশের কারণে নিহত তুর্কি নাগরিকের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু টুইটারে জানান, নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে নৃশংস হামলায় গুরুতর আহত আমাদের একজন নাগরিককে হারিয়েছি।

নিহতের ভাই তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে জানান, বৃহস্পতিবার তার ভাইকে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।

স্টাফ জানায়, ক্রাইস্টচার্চ হামলায় সর্বশেষ নিহত ব্যক্তি হলেন এই তুর্কি নাগরিক। গত মাস থেকেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল এবং খুব ধীর গতিতে তার উন্নতি ঘটছিল। আল নুর মসজিদে হামলায় তার বুকে গুলি লেগেছিল।

তুরস্ক দূতাবাসের মুখপাত্র জানিয়েছে, তুর্কি রাষ্ট্রদূত আহমেদ আরজিন শুক্রবার সকালে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ক্রাইস্টচার্চ গেছেন। তিনি নিহতের মরদেহ তুরস্ক পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। এ ব্যাপারে নিউ জিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছে।