নিউ জিল্যান্ডে অগ্ন্যুৎপাতে ‘চেরনোবিল’ দুর্ঘটনার মতো পরিস্থিতি

নিউ জিল্যান্ডের হোয়াইট আইল্যান্ডের আগ্নেয়গিরিতে সোমবার অগ্ন্যুৎপাতের পর সেখানে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেওয়া এক প্যারামেডিক সেখানকার পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন। রাসেল ক্লার্ক নামের ওই প্যারামেডিক বলেছেন, অগ্ন্যুৎপাতের পর সেখানে চেরনোবিলের পারমাণবিক দুর্ঘটনার পরের পরিস্থিতির মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউ জিল্যান্ড টিভিকে তিনি বলেন, সবকিছুই ছাইয়ে মোড়া।

_110074769_capture

প্রশান্ত মহাসাগরের ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র নিউ জিল্যান্ডের হোয়াইট আইল্যান্ডে সোমবার আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটার দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ওই সময়ে সেখানে বহু পর্যটক উপস্থিত ছিল। অগ্ন্যুৎপাতে ছয় জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে আরও আটজনের মৃত্যু হতে পারে। এছাড়া মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে আরও ৩০ জন।

উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেওয়া চারটি হেলিকপ্টারের কর্মীদের প্রশংসা করেছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডেন। মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওই পাইলটেরা চরম বিপদজনক পরিস্থিতিতে মানুষ উদ্ধারে মারাত্মক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, যারা মারা গেছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের পরিবার ও বন্ধুদের চরম বিষাদ ও দুঃখের সমব্যাথী আমরাও।

অগ্ন্যুৎপাতের পর হোয়াইট আইল্যান্ড ঘুরে আসার পর এক সাক্ষাৎকারে সেখানকার পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন প্যারামেডিক রাসেল ক্লার্ক। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে তিনি ও তার সহকর্মীরা পৌঁছানোর পর ভয়াবহ চিত্র দেখেছেন। দ্বীপে একটি হেলিকপ্টার ছিল। অগ্ন্যুৎপাতে হয়ত সেটির পাখাগুলো বিচ্ছিন্ন হয়েছিল।

অগ্ন্যুৎপাতের সময় দ্বীপটিতে অন্তত ৪৭ জন পর্যটক উপস্থিত ছিলেন। অগ্ন্যুৎপাত শুরুর অন্তত তিন সপ্তাহ আগে সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তারপরও কেন পর্যটকদের সেখানে যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেন বলেন, ‘এই প্রশ্ন অবশ্যই করা হবে আর তাদের অবশ্যই জবাব দিতে হবে’।  ওই ঘটনায় একটি পুলিশি তদন্তও শুরু হয়েছে।