করোনা ভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে অস্ট্রেলিয়ায় বিজ্ঞানীদের অগ্রগতি

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় এক বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে একদল গবেষক বড় ধরনের সফলতার পথে রয়েছেন। দেশটিতে কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (সিএসআইআরও)  হাই সিকিউরিটি গবেষণাগারে চীনের বাইরে প্রথমবারের মতো ভাইরাসটির রেপ্লিকা তৈরি করতে পেরেছে। এর আগে গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ারই দোহার্টি ইনস্টিটিউট মানব দেহ থেকে ভাইরাসটিকে বিচ্ছিন্ন করতে পেরেছিলেন। এই দুটি পদক্ষেপে অগ্রগতি ভাইরাসটির টিকা উদ্ভাবনের পথ সুগম করেছে।

Coronavirus_bats_cave_collection_1280x720

অগ্রগতির বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএসআইআরও’র ডেঞ্জারাস প্যাথোজেন্স টিমের নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক এসএস ভাসান বলেন, দোহার্টি ইনস্টিউটের সহকর্মীরা দ্রুত আলাদা করা ভাইরাসটি আমাদের সঙ্গে বিনিময় করার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। টিকা উদ্ভাবনে প্রি ক্লিনিক্যাল গবেষণায় জীবন্ত ভাইরাস পাওয়াতে কাজ দ্রুত এগুচ্ছে।

এই অধ্যাপক আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ান অ্যানিমেল হেলথ ল্যাবরেটরিতে আমার  সহকর্মীরা পরীক্ষা, নজরদারি ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে কাজ করছেন। সিএসআইআরও’র আরেকটি অংশ ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের ভ্যাকসিন অ্যান্টিজেন উদ্ভাবনে সহযোগিতা করছে।

ভারতীয় এই বিজ্ঞানী জানান, তারা এখন সংগৃহীত ভাইরাসের সংখ্যা বাড়াতে কাজ করছেন। তবে সিএসআইআরও’তে কত সংখ্যক ভাইরাস রয়েছে তা সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু জানাননি। তিনি বলেন, টিকা উদ্ভাবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় প্রিক্লিনিক্যাল গবেষণার পাশাপাশি এর মাধ্যমে ভ্যাকসিনটির ওষুধের মূল্যায়ন ও অগ্রগতি দ্রুততর হবে।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভাইরাসটির কবলে পড়ে মোট ৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৩ হাজার ১৪৩ জন আক্রান্ত হওয়ায় দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ হাজার ১৬১ জনে।