করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ‘অন্ধকারে হাতড়াচ্ছে’ বিশ্ব: ডব্লিউএইচও

করোনা ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। চীনে কমলেও ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় চীনের বাইরে আক্রান্ত দেশ ও রাজধানীর সংখ্যা বেড়েছে ৯ গুণ। বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকানোর ক্ষেত্রে বিশ্ব ‘অন্ধকারে হাতড়াচ্ছে’। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

_111108885_060382807-1













বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আডানম গেব্রিউসাস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা অন্ধকারে হাতড়াচ্ছি। এর আগে আমরা এমন কোনও শ্বাসযন্ত্রের রোগ সংক্রামক জীবাণু দেখিনি যা সম্প্রদায় সংক্রমণ করতে পারে। এটি একেবারে অন্যরকম বৈশিষ্ট্যের আলাদা ভাইরাস। কিন্তু উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে বিস্তার ঠেকানো সম্ভব।
সম্প্রদায় সংক্রমণ অর্থ হলো আরেকটি ভাইরাস আক্রান্ত অঞ্চল থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ সূত্রপাত হয়নি।
ড. টেড্রোস দাবি করেন, এই ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকানো সম্ভব। রোগটির চেয়ে আতঙ্কই বেশি বিপজ্জনক।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের বিস্তারই একমাত্র পথ ছিল না। দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিলে বিস্তার ঠেকানো যেত। পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া এখন আর কোনও উপায় নেই।
স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরও বলেন, ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকানোর একক কোনও উপায় নেই। সব দেশ নিজেদের মতো পদক্ষেপ নিবে কিন্তু অবশ্যই তা নিয়ন্ত্রণ করা দিয়ে শুরু করতে হবে। যে ৬২টি দেশে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে সেগুলোর মধ্যে ৩৮ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দশজনের কম। আটটি দেশে গত দুই সপ্তাহ ধরে নতুন কোনও আক্রান্তের কথা জানা যায়নি।
তিনি জানান, বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করা হবে কিনা তা নিয়ে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্তত ৭০টি দেশে প্রায় ৯০ হাজারের আক্রান্তের কথা জানা গেছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই চীনের। চীনের বাইরে যে ৮ হাজার ৮০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৮১ শতাংশ চারটি দেশ। এই দেশগুলো হলো, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি ও জাপান।
সোমবার ইতালিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮৩৫। ইরানে আরও ১২ জনের মৃত্যুর ফলে মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬জনে। যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬ জন।