এবার মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহারে গুরুত্ব না দিলেও এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( ডব্লিউএইচও) অবস্থান পাল্টে পরামর্শ দিয়েছে পাবলিক প্লেসে মাস্ক ব্যবহারের জন্য। নতুন গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে অন্যের শরীরে তা ছড়ানোর ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করে মাস্ক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।

_112746586_881811b7-d2b7-42e6-a543-981bfcced2cc

মহামারি শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  সুস্থ মানুষের মাস্ক পরার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই বলে যুক্তি তুলি ধরেছিল। তবে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পাবলিক প্লেসে মাস্ক ব্যবহার বেশ কয়েকটি দেশে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশে মাস্ক ব্যবহার না করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ বিষয়ক টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভ ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রতিটি দেশের সরকারের প্রতি পরামর্শ দিচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা কাপড়ের মাস্ক– যা মেডিক্যাল মাস্ক নয়, সেটি সুনির্দিষ্ট করে দিচ্ছি।’

কারখোভ বলেন, ‘আমাদের কাছে নতুন গবেষণার তথ্য আছে। তাতে দেখা গেছে,  সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা হলে  তা সংক্রমণ ঠেকানোর কাজ করতে পারে।’

সংস্থার পক্ষ থেকে সব সময়ই বলা হয়েছে, যারা অসুস্থ বা  করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে এবং  আক্রান্ত রোগীদের দেখাশোনা করছেন, তাদের জন্য মেডিক্যাল মাস্ক পরা আবশ্যক।

তবে একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন হাতিয়ারের মধ্যে একটি ফেস মাস্ক এবং এটা মানুষকে পুরোপুরি সুরক্ষার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে চায় না।

সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম গেব্রিইয়ুস বলেন, শুধু মাস্ক ব্যবহারের ফলেই কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে না।