আলোচনার টেবিলে ফিরছে ফেসবুক, দাবি অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন দাবি করেছেন, টেক জায়ান্ট ফেসবুক তাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে ফেরত এসেছে। কোম্পানিটির এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নির্বাহী কর্মকর্তা সিমন মিলনার ক্ষমা চাওয়ার পর শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এমন দাবি করেছেন মরিসন। অবশ্য ফেসবুক ইঙ্গিত দিয়েছে, লিংক শেয়ারের ক্ষেত্রে অর্থ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রেখে অস্ট্রেলিয়ায় যে আইন প্রণিত হয়েছে তার বিরোধিতা করে যাবে তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সাধারণত সারা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমগুলো ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেই পাঠকের কাছে সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে থাকে। এতে সংবাদ সংস্থাগুলির রিচ অনেকটা বেড়ে যায়। নেটিজেনরাও প্রয়োজনীয় খবরগুলি শেয়ার করে থাকেন তাদের প্রোফাইল বা হ্যান্ডেলে। লাখ লাখ মানুষের টাইমলাইনে ভেসে ওঠে শিরোনাম। আর এভাবেই কোনও খবর ভাইরাল হয়ে পড়ে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তাবিত নতুন আইন অনুযায়ী গুগল, ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে খবরের লিঙ্ক শেয়ার করতে হলে দেশটির সংবাদমাধ্যমকে অর্থ দিতে হবে। আইনটি অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাস হয়ে গেলেও সোমবার সিনেটে আইনটি পাস করাতে বিতর্ক হওয়ার কথা। গুগল অস্ট্রেলীয় সরকারের শর্তটি মেনে নিলেও বাধ সেধেছে ফেসবুক। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে লিংক শেয়ার বন্ধ করে দিয়েছে তারা।

অস্ট্রেলিয়ায় কনটেন্ট শেয়ার বন্ধ করে দেওয়ার পর বিশ্বজুড়ে চাপের মুখে পড়ে ফেসবুক। এক পর্যায়ে শুক্রবার কোম্পানিটির এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সিমন মিলনার। আর শনিবার এ ক্ষমা প্রার্থনাকে স্বাগত জানিয়ে স্কট মরিসন বলেন, ‘এখন আমার কাজ হলো তাদের সঙ্গে আলোচনা নিশ্চিত করা যেন আমরা কোনও সফল সমাধানে পৌঁছাতে পারি। অস্ট্রেলীয় সরকারের অবস্থান খুব পরিষ্কার, আমরা জনসাধারণকে জানিয়ে রাখতে চাই যে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থানের পক্ষে বিশ্বজুড়ে দৃঢ় সমর্থন রয়েছে।’

মরিসন আরও বলেন, ‘আমাদেরকে আবারও বন্ধু করে আলোচনায় ফেরার জন্য ফেসবুকের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমি সন্তুষ্ট। আলোচনার উদ্দেশ্য হলো, আমাদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদমাধ্যম সমর্থিত অবাধ ও গণতান্ত্রিক সমাজ বাস্তবায়ন করতে যেরকম সুরক্ষা দরকার তা নিশ্চিত করা।’