মিয়ানমারে রক্তক্ষয় অবসানের আহ্বান পোপের

মিয়ানমারে রক্তক্ষয় বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। বুধবার তিনি বলেছেন, ‘মিয়ানমারের রাস্তায় যদি দাঁড়াতে পারতাম আর বলতে পারতাম ‌‌সহিংসতা থামান।' করোনা বিধিনিষেধের কারণে দূর থেকে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক ভাষণে পোপ এই আহ্বান জানান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। নিয়মিতভাবেই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হচ্ছে সরকারি বাহিনী। বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। গত রবিবার একদিনেই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভে সরকারি বাহিনী গুলি চালালে ৫০ জনের মতো নিহত হয়। সোমবার নিহত হয় আরও ২০ জন। মঙ্গলবার অ্যাডভোকেসি গ্রুপ অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ১৮৩ নিহত হয়েছে। এসব সহিংসতার বিরুদ্ধে আগেও দাঁড়িয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।

বুধবার পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘আরও একবার এবং গভীর দুঃখের সঙ্গে আমি মিয়ানমারের নাটকীয় পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার গুরুত্ব অনুভব করছি, সেখানে বহু মানুষ, বেশিরভাগই তরুণ, দেশবাসীর জন্য আশা যোগাতে প্রাণ উৎসর্গ করছে।'

গত সপ্তাহে মিয়ানমারের মিয়াতকিয়ানা শহরের রাস্তায় হাঁটু গেড়ে বসে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ না করার আহ্বান জানান এক ক্যাথলিক নান। ওই ঘটনার ভিডিও এবং ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। সেই ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‌‘আমিও যদি মিয়ানমারের রাস্তায় হাঁটু গেড়ে বসতে পারতাম, আর বলতে পারতাম সহিংসতা বন্ধ করুন। আমিও যদি বাহ প্রসারিত করতে পারতাম আর বলতে পারতাম চলে আলোচনার পথ খুলি!’

সিস্টার আন রোজ নু তায়াং নামের ওই নান পরে সাংবাদিকদের বলেন তিনি পুলিশকে বলেছিলেন, ছেলেমেয়েদের ছেড়ে এর বদলে তাকেই গুলি করতে বলেছিলেন। বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারে আট লাখেরও কম রোমান ক্যাথলিক বাস করে মিয়ানমারে।

২০১৭ সালে মিয়ানমার সফর করে আসা পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘রক্তক্ষয়ে কোনও কিছুর সমাধান হয় না। অবশ্যই আলোচনার পথ উন্মোচন করতে হবে।‘ মিয়ানমারের রোমান ক্যাথলিক নেতা চার্লস মং বো-ও রক্তক্ষয় অবসানের আহ্বান জানান।