বিধ্বস্ত রুশ সামরিক বিমানের ৯২ আরোহীই নিহত

nonameকৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত রুশ সামরিক বিমানটিতে থাকা ৯২ আরোহীই নিহত হয়েছেন।  নিহতদের মধ্যে রেড আর্মির সামরিক সংগীত দল আলেক্সান্দ্রভ এনসেম্বল-এর সদস্য। ওই সংগীত দলের ৯০ জন সদস্য দু’টি রুশ সামরিক বিমানে করে সিরিয়ার লাতাকিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও বিমানে ছিলেন কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা এবং নয়জন সাংবাদিক। সব আরোহীর নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রবিবার সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে বিমানটি কৃষ্ণ সাগরে নিখোঁজ হয় বলে প্রথমদিকে জানানো হয়। পরে নিশ্চিত করা হয়, বিমানটি কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। রুশ কর্তৃপক্ষ জানায়, বিধ্বস্ত হওয়া টিইউ-১৫৪ সামরিক বিমানটিতে ৯২ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৮৪ জন যাত্রী। বাকী ৮ জন বিমান কর্মী।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কনাসেনকভ জানান, বিমানের যাত্রী ও ক্রুদের কেউ বেঁচে নেই।

এর আগে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার পর উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। উদ্ধার করা হয়েছে একজনের মরদেহ। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইউরো নিউজ জানিয়েছিল, চলমান উদ্ধার অভিযানে এখনও কোনও জীবিতের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেনকভ আগে জানিয়েছিলেন,  ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, চারটি জাহাজ, পাঁচটি হেলিকপ্টার এবং একটি ড্রোন ওই এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে মুখপাত্র কোনাশেনকভ আরও জানান, ‘সোচি শহরে কৃষ্ণ সাগরবর্তী উপকূলের দেড় কিলোমিটার দূরে ৭০ মিটার গভীরে রুশ প্রতিরক্ষা দফতরের টু-১৫৪ বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।’

সূত্রের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, সোচির ক্রাসনোদার ক্রাই থেকে স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে উড্ডয়নের ২০ মিনিট পরই বিমানটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তখন বিমানটি কৃষ্ণ সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল।

সামরিক বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এ বিষয়ে তল্লাশি অভিযান তদারকি করছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। তাকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সকল আপডেট জানানো হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স, আরটি, স্পুটনিক।
/এফইউ/বিএ/এএ/