রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিরিয়ায় চলমান সংকট নিরসন ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া উদ্যোগে সমর্থন দিতে এবং দেশটির সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় মস্কো প্রস্তুত রয়েছে।’
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদির সঙ্গে বৈঠকে ল্যাভরভ আরও বলেন, আমরা মনে করি এই সংকট নিরসনে সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুদ্ধরত সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সহযোগিতামূলক সম্পর্কের জন্য রাশিয়া প্রস্তুত এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেও একই পদক্ষেপ আশা করেন তারা।
এদিকে, সিরিয়ার চলমান সংকট নিরসনে শান্তি আলোচনা চলছে। কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় আসছে ৩ মে শুরু হচ্ছে এ দফার আলোচনা। এবারের বৈঠকে সিরিয়ার স্বশস্ত্র বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন রুশ ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানোভ।
সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার জের ধরে রুশ-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা ছড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রুশ সমর্থনপুষ্ট সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী এ হামলা চালিয়েছে। বিপরীতে রাশিয়া দাবি করেছে, আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের কাছে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ ছিল। ৩ এপ্রিল খান শেইখুনে এ হামলায় অন্তত ৮৯ জন নিহত হয়েছেন। এই রাসায়নিক হামলার অভিযোগে ৭ এপ্রিল সিরিয়ার শায়রাত বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সেদিন ভোরে দুই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার এবং ইউএসএস রস থেকে আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত ওই বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। সিরীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মার্কিন এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে আগ্রাসন হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল মস্কো। সূত্র: রয়টার্স, স্পুটনিক নিউজ।
/এএ/