পুতিন যখন গায়ক ও পিয়ানো বাদক

পিয়ানো বাজাচ্ছেন পুতিনরুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কেজিবির সাবেক দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে অনেক হত্যার অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমা সরকারগুলো। ফলে ভ্লাদিমির পুতিনকে কঠোর একজন স্বৈরশাসক হিসেবেই জানে বিশ্ব। তবে মাঝে মাঝেই তিনি চমকে দেন পশ্চিমাদের। এই যেমন, রবিবার চীন সফরে এসে পিয়ানো বাজিয়ে ও গান গেয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন।

চীনের উদ্যোগ ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড এর জন্য আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বেইজিং পৌঁছেছেন পুতিন। এই সম্মেলনে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

চীন পৌঁছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষা করছিলেন পুতিন। অপেক্ষার সময়টুকুতে পিয়ানো বাজানো শুরু করেন তিনি। শৈশবে শেখা দুটি গানের সুর বাজিয়ে শোনান তিনি। গান দুটির একটি ছিল ‘ইভিনিং সং’ এবং আরেকটি ছিল ‘মস্কো উইন্ডোজ’। এই দুটি গানই ১৯৫০-র দশকের। সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলের স্ট্যালিন যুগের।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, পুতিনের এই গান গাওয়াটা স্বাভাবিকের মতো দেখালেও একেবারে হুট করে নয়। কারণ হাতে ক্যামেরা নিয়ে পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ধারণকরা ভিডিও কিছুক্ষণের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোতে।

এর আগেও পুতিন বেশ কিছু কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চমকে দিয়েছেন। খালি গায়ে সাইবেরিয়া ঘোড়ায় চড়া, হ্যান্ডগ্লাইডারে পাখির সঙ্গে উড়ে বেড়ানে, ডলফিনের সঙ্গে সাঁতার, বৈকাল হ্রদ ও কৃষ্ণ সাগরে ডুব দেওয়ার ছবি বেশ আলোচিত হয়েছিল।

গানও গেয়েছেন এর আগে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়ে চমকে দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীদের। আর ২০১০ সালে একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে পিয়ানো বাজিয়ে নিজেই গান গেয়েছিলেন পুতিন। সূত্র: রাশিয়া টুডে, নিউ ইয়র্ক টাইমস।

/এএ/