রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: টিলারসনের সঙ্গে বৈঠকের পর ল্যাভরভ

s4.reutersmedia.netরাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন দ্বিপক্ষীয় উত্তেজনা নিরসনে জটিল ইস্যুতে মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেন তিনি।

ফিলিপাইনের ম্যানিলায় একটি সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠকে মিলিত হন ল্যাভরভ ও টিলারসন। ল্যাভরভ জানান, তাদের বৈঠকে টিলারসনের প্রথম প্রশ্ন ছিল মস্কোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে রুশ পদক্ষেপ নিয়ে। তিনি বলেন, তার (টিলারসন) প্রাথমিক আগ্রহ ছিল রুশবিরোধী নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে নেওয়া আমাদের পদক্ষেপের বিস্তারিত জানতে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞার বিলে স্বাক্ষরের পর দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই ছিল প্রথম বৈঠক।

ল্যাভরভ জানান, টিলারসনকে রাশিয়ার পদক্ষেপের বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

বুধবার ট্রাম্প কংগ্রেসে পাস হওয়া রুশ নিষেধাজ্ঞার বিলে স্বাক্ষর করেন। যদিও তিনি বিলটিকে ত্রুটিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলের ঘটনা। এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে এসব ঘটনায় রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় মার্কিন কংগ্রেস।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞাকে মস্কোর বিরুদ্ধে ‌পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যযুদ্ধের ঘোষণা' বলে আখ্যায়িত করেছেন রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ। রুশ প্রধানমন্ত্রী এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় জানান, এই পদক্ষেপ মার্কিন প্রেসিডেন্টের অক্ষমতা প্রমাণ করে। কংগ্রেস দ্বারা অপদস্ত হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট।

রুশ প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে লিখেছেন, মার্কিন কংগ্রেস ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপসারণের নতুন পদক্ষেপ নিতে পারে।

মার্কিন কংগ্রেসে নিষেধাজ্ঞার বিলটি পাস হওয়ার পরই পাল্টা পদক্ষেপ নেয় রাশিয়া। দেশটিতে দায়িত্বপালনরত ৭৫৫ মার্কিন কূটনীতিককে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কো দূতাবাস ছাড়াও একাতেরিনবার্গ, ব্লাদিভোস্তোক ও সেন্ট পিটার্সবার্গে কনস্যুলেটগুলো থেকেও কূটনীতিককে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।  সূত্র: রয়টার্স।

/এএ/