রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমালোচনার মুখে থাকা মিয়ানমারের পাশে থাকবে রাশিয়া

উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে মিয়ানমারের অবস্থানকে আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে দেশটির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে রাশিয়া। সফররত রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই সোইগু রবিবার মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের মিন অং হ্লাংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এই আশ্বাস দিয়েছেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার টাইমস এই খবর জানিয়েছে।

russia_0

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর শুরু হওয়া ওই অভিযানের কারণে এ পর্যন্ত সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে। জাতিসংঘ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওই অভিযানকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছে। বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়ে মিয়ানমার। তবে সামরিক বাহিনী প্রভাবিত মিয়ানমার সরকারের ওপর সমর্থন অব্যাহত রাখে রাশিয়া।

রবিবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে সেনাপ্রধান ছাড়াও মিয়ানমারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ওই সাক্ষাতের সময় রুশ মন্ত্রী মিয়ানমারের সেনাপ্রধানকে বলেন, ‘রাখাইনে সন্ত্রাসী হামলার পিছনে রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে। কঠিন হলেও  মিয়ানমারের সরকার, সেনাবাহিনী আর সাধারণ নাগরিকদের অবশ্যই একসঙ্গে এই সমস্যা মোকাবিলার পথ খুঁজতে হবে।’

ওই সাক্ষাতের পর মিয়ানমারের সেনাপ্রধান তার ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে লেখেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মিয়ানমারের অবস্থান বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। রাখাইন সমস্যা মোকাবিলায় রাশিয়ার অব্যাহত সমর্থনের প্রশংসা করেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান।

সাক্ষাতে দুই পক্ষই সামরিক প্রযুক্তিগত সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন। দুই সামরিক বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ ও নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শন বিনিময় নিয়েও কথা বলেন তারা। পরে দুই দেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিনিময়ের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।