স্মার্টফোন নেই পুতিনের

 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্বীকার করেছেন তার কোনও স্মার্টফোন নেই। বৃহস্পতিবার একথা জানান। এর আগে গত বছর তিনি জানিয়েছিলেন কোনও ধরনের সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত হওয়ার কোনও ইচ্ছে তার নেই।

স্মার্টফোন নেই বলে জানিয়েছেন পুতিন

বৃহস্পতিবার বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে এক বৈঠকে ভাষণ দেন কুর্চাটভ পারমাণবিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধন মিখাইল কভালচুক। তিনি বলেন, এখন সবার পকেটে স্মার্টফোন রয়েছে। কভালচুকের এই বক্তব্যের পর পুতিন ভাষণে জানান তার কোনও স্মার্টফোন নেই।

পুতিন বলেন, ‘আপনি বলছেন সবার কাছে স্মার্টফোন রয়েছে। কিন্তু আমার কোনও স্মার্টফোন নেই।’ রুশ প্রেসিডেন্টের এই কথা শুনে উপস্থিত সবাই হেসে ওঠেন।

৬৫ বছরের রুশ রাষ্ট্র প্রধান এর আগে স্বীকার করেছিলেন প্রযুক্তি নিয়ে তার কোনও আগ্রহ নেই। ২০০৫ সালে তিনি জানান, তার কোনও মোবাইল ফোন নেই।

গত বছর স্কুল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক বৈঠকে পুতিন বলেছিলেন, তিনি খুব ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। অবসর সময়ে ইনস্টাগ্রাম বা অন্য কোনও সামাজিক মাধ্যমে সময় কাটান কিনা জানতে চাইলে তিনি একথা জানান।

পুতিন বলেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি এসব ব্যবহার করেন না। তার হয়ে কর্মকর্তারাই কাজটি করেন। আমার কঠোর পরিশ্রমের দিন শেষ হয় অনেক দেরিতে। ইনস্টাগ্রামে আমি নেই।

বেশ কয়েক বছর আগে পুতিন দাবি করেছিলেন, ইন্টারনেট মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র একটি বিশেষ প্রকল্প এবং এর অর্ধেকই হচ্ছে পর্নোগ্রাফি।

পুতিন স্মার্টফোন ব্যবহার না করলেও রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদকে প্রায়ই একটি আইফোন ও অন্যান্য যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে থাকতে দেখা যায়। তার নিজের স্ন্যাপচ্যাট ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট রয়েছে।  

২০১২ সালে ক্রেমলিনে ফেরার পর ইন্টারনেটে মত প্রকাশের স্বাধীনতা কঠোর হস্তে দমন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। গত বছর অনলাইনে পোস্ট করার অভিযোগে ৪৩জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে রাশিয়া। সূত্র: এএফপি।