২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চান পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পথ সুগম করেছেন। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার দেশটির সংবিধানের একটি সংশোধন প্রস্তাবে অনুমতি দিয়েছেন তিনি। তবে দাবি করেছেন, রাজনৈতিকভাবে দেশ ‘পরিপক্ক’ হয়ে উঠলে তিনি মেয়াদ কমিয়ে আনার পক্ষে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

76e37b5d82114d70aebd6c9bed1ea9fd_18

জানুয়ারিতে রাশিয়ার রাজনীতি ও সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেন পুতিন। বর্তমান সংবিধান অনুসারে ২০২৪ সালে তাকে দায়িত্ব ছাড়তে হতো চতুর্থ মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর।

মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ডুমাতে দেওয়া এক ভাষণে সংবিধানের প্রস্তাবিত সংশোধনের প্রতি সম্মতি জানিয়েছেন। যে প্রস্তাবের ফলে প্রেসিডেন্টের মেয়াদের বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

ভাষণে পুতিন বলেন, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট থেকে যে কোনও ব্যক্তিকে দায়িত্ব থেকে না সরানোর প্রস্তাব নীতিগতভাবে সম্ভব কিন্তু এক শর্তে। যদি সাংবিধানিক আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে রুল জারি করে যে এই সংশোধন প্রস্তাব সংবিধানের মূলনীতি ও ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টের কথা ভাষণে তুলে ধরেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বিশ্ব অর্থনীতিতে মহামন্দার সময় রুজভেল্ট চার মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

পুতিন বলেন, যখন দেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যায় তখন স্থিতিশীলতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

পুতিনের সমালোচকদের আশঙ্কা, যদি সাংবিধানিক আদালত এই সংশোধন প্রস্তাবে সম্মতি দেয় এবং এপ্রিলে দেশব্যাপী ভোটে তা পাস হয় তাহলে পুতিন পরপর দুই মেয়াদে ছয় বছর করে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। তার স্বাস্থ্য ও ভোটের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে তিনি ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। তখন তার বয়স হবে ৮৩ বছর।