রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের

বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। ওই হত্যাচেষ্টা এবং এর পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের জেরে মঙ্গলবার দেশটির ওপর সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ।

যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাসায়নিক উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত রাশিয়ার সাত জন সিনিয়র কর্মকর্তা এবং ১৪টি কোম্পানির ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মস্কোর বিরুদ্ধে জো বাইডেন প্রশাসনের এটিই প্রথম কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে মার্কিন কর্মর্কতারা জানিয়েছেন, এ তালিকার কয়েকটি নাম ইতোপূর্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞায়ও এসেছিল। নাভালনি সমর্থকদের পক্ষ থেকেও তাদের ব্যাপারে আপত্তি এসেছিল।

নাভালনির ঘটনায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি আগেই আঁচ করতে পেরেছিল মস্কো। সোমবার এ নিয়ে কথা বলেন রাশিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ। তিনি বলেন, নাভালনিকে কেন্দ্র করে যদি আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাহলে রুশ সরকারও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে তাদের পদক্ষেপের ধরনের ওপর।

পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই মস্কো প্রতিক্রিয়া দেখাবে বলে জানান সের্গেই রিয়াবকভ। মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি পেসকভ বলেন, নাভালনির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনও নতুন নিষেধাজ্ঞা লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবে। এটি কেবল এরইমধ্যে অবনতি হওয়া সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাবে।

উল্লেখ্য, নার্ভ গ্যাস প্রয়োগ করে বিরোধী নেতা নাভালনিকে হত্যার চেষ্টা করেছিল রুশ কর্তৃপক্ষ। সেই হত্যাচেষ্টায় কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জার্মানিতে। সেখানে চিকিৎসায় সুস্থ হন তিনি। ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি দেশে ফেরামাত্র বিমানবন্দরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারাগারে। তার মুক্তির দাবিতে রাজপথে নামে সমর্থকরা। এর মধ্যেই তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এর প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ থেকে হাজার হাজার মানুষকে আটক করে সরকারি বাহিনীর সদস্যরা।