পুতিনের ভ্যাকসিন নেওয়ার ছবি কোথায়?

রাশিয়াতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর অবশেষে তা নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তিনি ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তবে পুতিনের ভ্যাকসিন নেওয়ার কোনও ছবি প্রকাশ করা হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এখবর জানিয়েছে।

রাশিয়াতে নিজত্ব উৎপাদিত ভ্যাকসিন দিয়ে টিকা কর্মসূচি শুরু হলেও তা প্রয়োগের হার ইউরোপীয় দেশের তুলনায় কম।  প্রত্যাশিত টার্গেটের ধারেকাছে পৌঁছনো যায়নি। এই অবস্থায় মঙ্গলবার পুতিনের ভ্যাকসিন নেওয়ার ঘটনা রুশ নাগরিককে টিকাকরণে উৎসাহিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাশিয়ায় যে তিনটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে কোনটি পুতিন নিয়েছেন তা অবশ্য জানানো হয়নি। সেই সঙ্গে পুতিনের টিকাকরণের কোনও ছবিও প্রকাশ করা হয়নি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট জো বাইডেনের মতো সব রাষ্ট্রনায়করাই নিজেদের ভ্যাকসিন নেওয়ার ছবি প্রকাশ করেছেন। সেখানে পুতিনের ভ্যাকসিন নেওয়ার কোনও ছবি প্রকাশ না করায় সন্দেহ তৈরি হচ্ছে।

তবে দিমিত্রি পেসকভ জানালেন, আসলে পুতিন ভ্যাকসিন নেওয়ার মুহূর্তের ছবিই তুলতে চাননি। তার কথায়, ক্যামেরার সামনে ভ্যাকসিন নেওয়ার ছবি তোলায় একেবারেই উৎসাহ নেই রুশ প্রেসিডেন্টের। ফলে সাংবাদিকদেরকে আমাদের কথা মেনে নিতে হবে।

বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন হিসেবে স্পুটনিক ভি-কে অনুমোদন দিয়েছিল রাশিয়া। পরে আরও দু’টি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেয় তারা। ডিসেম্বর থেকেই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়। সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করতে দেখা গেছে পুতিনকে। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত খোদ প্রেসিডেন্ট ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অবশেষে তিনি তা নেওয়ায় রাশিয়ার সাধারণ মানুষ আরও উৎসাহী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

রাশিয়াতে এখন পর্যন্ত ৬৩ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। যা রাশিয়ার জনসংখ্যার মাত্র ৪.৩ শতাংশ। অথচ সরকারি পরিকল্পনা ছিল ২ কোটিরও বেশি মানুষকে মার্চের মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার।