ইউক্রেনে সামরিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সর্বাত্মক হামলা শুরু করা হলে দেশটির পূর্বাঞ্চলে বসবাসকারী রুশ ভাষাভাষী মানুষদের রক্ষায় রাশিয়া হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে সতর্ক করেছে মস্কো। রাশিয়ার এক শীর্ষ কর্মকর্তা এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। দিমিত্রি কোজাক নামের এই কর্মকর্তা বলেন, সবকিছুই নির্ভর করছে অভিযানের ব্যাপকতার ওপর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দেশটির সেনাবাহিনী এবং রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সদস্য জড়ো করছে রাশিয়া। ইউক্রেনে উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি।

রুশ কর্মকর্তা দিমিত্রি কোজাক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, উত্তেজনা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে তা হবে ইউক্রেনের অবসানের শুরু। তিনি বলেন, ‘একটা গুলিও পায়ে নয়, মুখে চালানো হবে।’

ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে রাশিয়া। যদিও মস্কোর দাবি সেনা বাড়ালো হলেও ইউক্রেনকে কোনও হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে না। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন পিসাকি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে পূর্ব ইউক্রেনে সংঘাত শুরুর সময়েই সীমান্তে সবচেয়ে বেশি সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া।

সীমান্তে কতো পরিমাণ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বর্ণনা অনুযায়ী, মার্চের শেষ নাগাদ সীমান্তে প্রায় ২০ হাজার সেনা জড়ো করেছে রাশিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই অঞ্চলের দিক্ যাচ্ছে রাশিয়ার ট্রেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সংঘাত কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমায়ার জেলেনস্কি। তিনি বলেন, কঠিন সময়ে সেনাবাহিনীর পাশে থাকতেই এই সফর করেছেন তিনি। একই দিন উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল। তবে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেন পুতিন।

মস্কোর কর্মকর্তা দিমিত্রি কোজাক ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ডোনবাসের বর্তমান পরিস্থিতিকে সার্বেনসিয়া শহরের মতো বলে বর্ণনা করেণ্ ১৯৯৫ সালে বসনিয়া-হার্জেগোভিনিয়ার সার্বেনসিয়া শহরে আট হাজার মুসলিমকে হত্যা করে বসনিয়ার সার্ব বাহিনী। ওই ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে কোজাক বলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট যেমনটি বলেছেন, যদি আরেকটি সার্বেনসিয়া ঘটে তাহলে আমরা সম্ভবত তাদের সুরক্ষা দেবো।’