যুক্তরাজ্যের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার মহড়া

যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার সেনাবাহিনী ভূমধ্যসাগরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এতে অংশ নিচ্ছে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম যুদ্ধবিমান। কৃষ্ণ সাগরে ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ার নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে এই মহড়াকে রাশিয়ার শক্তি প্রদর্শন হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।

ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর একটি রণতরী বুধবার কৃষ্ণ সাগর দিয়ে পার হওয়ার সময় রাশিয়ার কোস্ট গার্ডের দুইটি জাহাজ এবং ২০টিরও বেশি জঙ্গিবিমান সেটিকে অনুসরণ করতে থাকে। মস্কোর প্রতিরক্ষা বিভাগ বলছে, তাদের টহল জাহাজ থেকে ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির জাহাজ এইচএমএস ডিফেন্ডারকে সতর্ক করে দুইটি গোলা ছোঁড়া হয়। জাহাজের পথের সামনে জঙ্গিবিমান থেকে একটি বোমাও নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে যুক্তরাজ্য সরকার বলছে, এসব কিছুই ঘটেনি।

এই ঘটনায় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে রাশিয়ার। মস্কোয় নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ওই ঘটনার ব্যাখা চেয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে ব্রিটিশ জাহাজে বোমাবর্ষণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চলে শুক্রবার এই মহড়া শুরু করেছে। সাগরের ওই এলাকাটিতে একটি ব্রিটিশ ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ অবস্থান করছে।

গত সপ্তাহের শুরুতে এইচএমএস কুইন এলিজাবেথ থেকে ব্রিটিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান আইএস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আকাশে উড়ে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, খিঞ্জাল হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম দুটি মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে পৌঁছেছে। উপকূলীয় প্রদেশ লাটাকিয়াতে হেমেইমেম বিমানঘাঁটিটি সিরিয়ায় মস্কোর অভিযানের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এই প্রথম খিঞ্জাল ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম যুদ্ধবিমান রাশিয়ার সীমান্তের বাইরে মোতায়েন করা হলো। রুশ সেনাবাহিনীর মতে, খিঞ্জাল ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে দশগুণ দ্রুত গতির এবং এটি ২ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চলের এই মহড়া বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ, দুটি সাবমেরিন ও দূরপাল্লার বোমারু বিমান ও যুদ্ধবিমান অংশ নিচ্ছে।