নাভালনি ইস্যুতে মস্কোয় বিবাদে জড়ালেন পুতিন ও মার্কেল

আলেক্সাই নাভালনিকে নিয়ে বিবাদে জড়ালেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তালেবান এবং পাইপলাইন প্রকল্প ইস্যুতে মস্কোতে আলোচনার একপর্যায়ে রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা নাভালনিকে কারাগারে রাখা নিয়ে তর্কে জড়ান দু’জন।

জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে শেষবার রাশিয়ায় সফরে যান মার্কেল। রাজধানী মস্কোয় গ্যাস লাইন প্রকল্প নিয়ে পুতিনের সঙ্গে আলোচনার বাইরে গিয়ে নাভালনি ইস্যু টানেন তিনি। ক্রেমলিনের সমালোচক নাভলনিকে রাজনৈতিক কারণে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে বলে জোরালো অভিযোগ তোলেন। কিন্তু তা সরাসরি নাকচ করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।

আলোচনার মধ্যেই নাভালনিকে মুক্তির দাবি জানান জার্মানির নেত্রী। পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, ‘আলেক্সাই নাভালনির শোচনীয় পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি প্রেসিডেন্টকে আবারও স্পষ্ট করে রুশ বিরোধী দলীয় নেতার মুক্তির দাবি জানিয়েছি’।

এদিকে পুতিন বলছেন, নাভালনি আইনভঙ্গ করায় তার সাজা চলছে। রাজনৈতিক কারণে নয় নিজের অপরাধের জন্যই শাস্তিভোগ করছেন। জালিয়াতির একটি মামলায় স্থগিত হওয়া সাজার শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে নাভালনিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গত বছরের ২০ আগস্ট একটি ফ্লাইটে সাইবেরিয়ার টমস্ক থেকে মস্কোয় ফেরার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আলেক্সাই নাভালনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বার্লিনের চ্যারিতে হাসপাতালে। ফ্রান্স, জার্মানি ও সুইডেনে চালানো আলাদা আলাদা পরীক্ষায় দেখা যায় নাভালনিকে নার্ভ এজেন্টের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। পরবর্তীতে শারিরীক অবস্থার উন্নতি হলে দেশে ফিরলেই গ্রেফতার হন তিনি।