মার্কিন হুঁশিয়ারির পর রাশিয়া বলছে ‘যুদ্ধ চাই না’

আগামী ফেব্রুয়ারিতে সম্ভবত ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে বসতে পারে রাশিয়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন সতর্কবার্তার প্রতিক্রিয়ায় মস্কো বলছে তারা ‘যুদ্ধ চায় না’। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ক্রেমলিন কিয়েভের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চাইছে না। তবে, মস্কো তার নিরাপত্তা স্বার্থকে উপেক্ষিত হতে দেবে না। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

দিন যত গড়াচ্ছে যুদ্ধের দিকে গড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেনের সম্পর্ক। এরমধ্যে জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে পারে বলে ‘স্পষ্ট সম্ভাবনা’ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমায়ার জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোন আলাপে এমন মন্তব্য করেন বাইডেন।

তবে বাইডেনের এমন বক্তব্যের জবাবে মস্কো বলছে ভিন্ন কথা। শুক্রবার রুশ রেডিও স্টেশনে দেওয়া সরাসরি সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, আমরা যুদ্ধ চাইছি না। এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনিও ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দেখা করবেন।

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার লক্ষাধিক সেনা মোতায়েনের পর থেকেই যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও রাশিয়া দাবি করে আসছে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য এসব সেনা মোতায়েন করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোর কাছে রাশিয়ার প্রধান নিরাপত্তা দাবি প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর পরিস্থিতি এখন আরও ঘোলাটে। রাশিয়ার দাবি ছিল, ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না। এছাড়া পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক কার্যক্রম সরিয়ে নিতে হবে। যদিও মস্কোর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াশিংটন।