ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ। রবিবার (২৯ জুন) এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কিয়েভের অবস্থান, মার্কিন মধ্যস্থতার কার্যকারিতা এবং বাস্তব পরিস্থিতির ওপর শান্তি প্রতিষ্ঠা নির্ভরশীল। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বেলারুশের প্রধান রাষ্ট্রায়ত্ত চ্যানেল বেলারুশ ওয়ান টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, (শান্তি প্রতিষ্ঠা) অনেকটাই আসলে নির্ভর করছে কিয়েভের শাসকগোষ্ঠীর অবস্থানের ওপর। ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতার প্রকৃতিও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতিও অগ্রাহ্য করা যাবে না।
ওয়াশিংটন এবং কিয়েভের কাছে মস্কোর প্রত্যাশা নিয়ে কোনও ইঙ্গিত দেননি পেসকোভ। তবে রাশিয়ার দাবি, তাদের কাছে ইউক্রেনের দখলকৃত ভূমি ছেড়ে দিতে হবে এবং পশ্চিমা সামরিক সহায়তা পরিত্যাগ করতে হবে।
যুদ্ধের অবসান নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হলেও কোনও সমঝোতায় আসতে পারেনি কোনও পক্ষ। আলোচনা অব্যাহত রাখার আগ্রহ রাশিয়ার পক্ষ থেকে দেখনো হলেও পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। তবে শিগগিরই তারিখ ঠিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পেসকোভ।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের তিন বছরের বেশি সময় পর গত ১৬ মে এবং ২ জুন ইস্তাম্বুলে সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বন্দি বিনিময় এবং যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত সেনাদের মরদেহ ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কিছু অগ্রগতি হলেও, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমাধানে পৌঁছানো যায়নি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ২ জুনের বৈঠকে উভয় পক্ষ যে শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে, তা ছিল একেবারে পরস্পরবিরোধী।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর পাঁচ মাস হলেও ইউক্রেন যুদ্ধের সুস্পষ্ট সমাপ্তি দেখা যাচ্ছে না। অথচ ২০২৪ সালের নির্বাচনি প্রচারণায় তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় গেলে একদিনেই যুদ্ধ শেষ করবেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে শপথ নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প উভয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করতে আহ্বান জানিয়ে আসছেন। শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার মনে হয়, একটি সমাধান আসছে।