রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আটক রুশ বিজ্ঞানীর মৃত্যু

সার্বিয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আটকের পর মস্কোয় নিয়ে যাওয়া এক রুশ বিজ্ঞানী মারা গেছেন। অগ্নাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত এই বিজ্ঞানীকে হাসপাতাল থেকে আটক করা হয়। রবিবার তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা।

৫৪ বছর বয়সী দিমিত্রি কোলকারকে হাসপাতালে রেখে টিউব দিয়ে খাবার দেওয়া হচ্ছিলো। সেই অবস্থায় তাকে আটক করে মস্কোতে নিয়ে যাওয়া হয়। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাকে লেফোরতোভো কারাগারে নেওয়া হয় এবং পরে কাছের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

এই বিজ্ঞানীর যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসকারী চাচাতো ভাই অ্যান্টন ডায়ানভ বলেন, লেজার বিশেষজ্ঞ এই বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে চীনের কাছে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য সরবরাহের অভিযোগ আনা হয়। এই অভিযোগ অযৌক্তিক বলে দাবি করেন তিনি।

অ্যান্টন ডায়ানভ বলেন, 'তিনি একজন বিজ্ঞানী ছিলেন, দেশকে ভালোবাসতেন, বাইরের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ল্যাবে কাজের আমন্ত্রণ পেয়েও তিনি নিজ দেশে কাজ করেছেন। তিনি রাশিয়ায় কাজ করতে চেয়েছেন, সেখানকার শিক্ষার্থীদের পড়াতে চেয়েছেন’। তিনি আরও বলেন, ‘এরকম একজন অসুস্থ ব্যক্তির উপর আরোপ করা এই অভিযোগগুলো একেবারে হাস্যকর, অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং অস্বাভাবিক। তারা জানতো তিনি মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন এবং তারপরও তারা তাতে তাকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয়’।

পরিবার ও আইনজীবীরা জানিয়েছেন, দিমিত্রি কোলকারকে গ্রেফতারের পর তার বাড়ি তল্লাশি করেছে রুশ নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবি। চীনে দেওয়া এক বক্তব্যের ভিত্তিতে কোলকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। যদিও বক্তব্য দেওয়ার আগে এসএসবি’র সম্মতি পেয়েছিলেন এই বিজ্ঞানী। এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে ২০ বছর পর্যন্ত দণ্ড হতে পারতো তার।

আইনজীবী আলেক্সান্ডার ফেদুলভ জানান তিনি কোলকারের পক্ষে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন কিন্তু এফএসবির তদন্ত বিভাগ এবং কারা কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করে। তিনি জানান, কোলকারের আটকের পরিস্থিতি ঘিরে তিনি আইনি অভিযোগ দায়ের করবেন।

সূত্র: রয়টার্স