নাদিয়া জানান, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর ‘বড় কিছু ঘটনার’ সংবাদ আসার প্রেক্ষিতে তাকে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার দিকে বিভিন্ন জিনিস ছুড়ে মারা হয়েছে, ধাক্কা দেওয়া হয়েছে।
নাদিয়া বলেন, ‘আমার মনে হয় এগুলো আমার জীবনের অংশই হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি এখন মনে করি, এমনটাই হবে। মানুষজন আমাকে ধাক্কা দেবে, খারাপ কথা বলবে।কারণ এমনটাই হয়। এমনটাই হয়ে আসছে বছরের পর বছর।’
এসব আচরণের জবাবে তিনি প্রতিহিংসা দেখান না বলে জানান নাদিয়া। বলেন, ‘আমি মনে করি চুপ থাকার মধ্যে একটা মর্যাদা আছে। আমার মনে হয় নেতিবাচকতার প্রতিক্রিয়ায় আমি নেতিবাচক আচরণ করি, তাহলে আমরা সমান হয়ে গেলাম।’
নাদিয়া আরও বলেন, ‘আর আমি সমান হতে চাই না, কারণ কেউ যদি নেতিবাচক হয় তাহলে আমাকে তার চেয়ে ভাল হতে হবে। আমার যেহেতু সন্তান আছে, আমি চাই না যে যুক্তরাজ্যে থাকার বিষয়ে তাদের মধ্যে কোনও নেতিবাচক মনোভাব থাকুক। তবে নেতিবাচক মানুষ আছে, যদিও তারা সংখ্যালঘু।’
ব্রিটেন সম্পর্কে নাদিয়া বলেন, ‘আমি ভালবাসি আমি ব্রিটিশ। এখানে থাকতে আমি ভালবাসি, এটিই আমার বাড়ি এবং সবসময় তাই থাকবে।’
গত অক্টোবরে বিবিসি ওয়ান টেলিভিশনের জনপ্রিয় বেকিং অনুষ্ঠানে বিজয়ী হন নাদিয়া হুসেইন। দেড় কোটি দর্শক ওই অনুষ্ঠান দেখেছিলেন। জানুয়ারিতে খ্যাতনামা একটি ব্রিটিশ পত্রিকা তাকে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী ৫০০ ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
/এএ/