জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে হত্যার গুজব

nonameযুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সরকার ও বড় বড় কর্পোরেশনের গোপন নথি ফাঁসকারী উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সোমবার উইকিলিকসের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে করা রহস্যময় তিনটি টুইট ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট পর্যালোচনা করে এ গুজবের কথা জানিয়েছে টাইম.কম। এছাড়া উইকিলিকস জানিয়েছে, একটি সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

যে তিনটি টুইট থেকে অ্যাসাঞ্জকে হত্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে সে তিনটি টুইট এনক্রিপ্টেড বার্তা বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যামে দাবি করা হচ্ছে, এ তিনটি কোড হচ্ছে আসলে ডেড মেনস সুইচ বা ডেড মেনস কি। এর অর্থ হচ্ছে, অ্যাসাঞ্জ নিহত কোন কোনও নথিগুলো ফাঁস করতে হবে তার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এই কোডেড মেসেজে।

উইকিলিকসের রহস্যময় তিনটি টুইট

তবে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক অনলাইন গিজমোডো জানিয়েছে, অ্যাসাঞ্জ মারা গেছেন বলে উইকিলিকসের কোড করা টুইটে  বলা হয়নি। গিজমোডোর দাবি , এ কোড মেসেজে উইকিলিকস আগামী দিনে ফাঁস হওয়া নথিগুলো অপরিবর্তিত রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। যারা গোপন নথিগুলো প্রকাশে কাজ করছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাসাঞ্জকে হত্যার সঙ্গে উঠে আসছে অভিনেত্রী পামেলা অ্যান্ডারসনের নাম। শনিবার বেওয়াচ তারকা আচমকা ইকুয়েডর দূতাবাসে গিয়ে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি খাবারসহ কিছু উপহার নিয়ে যান। অনেকের আশঙ্কা, খাবারে হয়ত বিষ মেশানো ছিল। আর তা খেয়ে মারা গেছেন অ্যাসাঞ্জ।

তবে এ বিষয়ে উইকিলিকস ও ইকুয়েডর দূতাবাসের কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

এদিকে, লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উইকিলিকস। এক টুইটে বলা হয়, একটি সরকারের পক্ষ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ইকুয়েডর দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জকে লক্ষ্য হামলা চালানো হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই দাবি করছেন, যে কোনও অভিযানের পূর্বে সেখানকার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন জুলিয়ান। যুক্তরাষ্ট্রসহ দুনিয়াজুড়ে ক্ষমতাশালীদের বিভিন্ন অপকর্ম উন্মোচন করতে থাকেন তিনি। এরই এক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দেওয়া হয়। ২০১০ সালে সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১২ সালের ১৯ জুন গ্রেফতার এড়াতে অ্যাসাঞ্জ স্বেচ্ছায় ইকুয়েডর দূতাবাসে যান। তারপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।  সূত্র: টাইম, আরটি।

/এএ/