ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্য সফরের আমন্ত্রণ জানাবে ব্রিটিশ সরকার

ডোনাল্ড ট্রাম্পযুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্য সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে গুঞ্জন চলছিল কয়েকদিন ধরে। এবার সে গুঞ্জনকে সত্যি প্রমাণ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, সম্পর্কোন্নয়নের অংশ হিসেবে ২০১৭ সালে ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্য সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে ব্রিটিশ এমপিরা বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন। অনলাইনে একটি পিটিশনে ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ করার জন্য প্রায় অর্ধকোটি ব্রিটিশ নাগরিক আবেদন করেছিলেন। তবে গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয় লাভের পর সে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ‘বিশেষ সম্পর্ক’ বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। এরই অংশ হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও যুক্তরাজ্য সফরে আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভাবা হচ্ছে। আর খবরটি নিশ্চিত করেছেন খোদ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-এর কার্যালয়ের মুখপাত্র।

থেরেসা মের কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর একটি রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছেন। তার মধ্যে ২০১৭ সালে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টকে রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে আমন্ত্রণের বিষয়টি রয়েছে।’

বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে বিদেশি নেতাদের রাষ্ট্রীয় সফরের ক্ষেত্রে বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। সাধারণত বছরে দুবার এ ধরনের সফর হয়ে থাকে এবং পররাষ্ট্র দফতরের পরামর্শ অনুযায়ী বিদেশি নেতার কাছে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়। সফরকারী রাষ্ট্র প্রধান বাকিংহাম প্যালেস কিংবা উইন্ডসর ক্যাসেল যেখানেই থাকুন না কেন রাণি তার আপ্যায়নকারী হয়ে থাকে। অতিথিকে রানি ও রাজ পরিবারের অপর জ্যেষ্ঠ সদস্যরা স্বাগত জানান। আগত বিদেশি অতিথির সম্মানে রাষ্ট্রীয় ভোজেরও আয়োজন করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাজ্য সফর করেছিলেন। এর আগে ২০১১ সালেও যুক্তরাজ্য সফর করেছিলেন তিনি।

এর আগে, সানডে টাইমস-এর এক খবরে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চাইছে যুক্তরাজ্যের থেরেসা মে’র  সরকার। আর সেই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় তারা ব্রিটেনের রানিকে কাজে লাগাতে চাইছেন।  পত্রিকাটির খবরে বলা হয়, আগামী  বছরের জুন অথবা জুলাই মাসে রানির আমন্ত্রণ পেতে পারেন ট্রাম্প। 

উল্লেখ্য, ব্রেক্সিট প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পর এবার মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে ব্রিটেন। তারই অংশ হিসেবে এই প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

/এফইউ/এএ/