ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের সমালোচনায় এবার ব্রিটিশ সরকার

flagsজাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব, যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো না দিয়ে বিরোধিতা করার পর এবার ব্রিটিশ সরকারও দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূ-খণ্ডে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের সমালোচনা করেছে। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরিসা মে-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বসতি স্থাপনে গুরুত্ব দেওয়ার ফলেই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি চুক্তি ভেঙে যেতে পারে না।

থেরেসা মে’র মুখপাত্র জানান,মধ্যপ্রাচ্যের এ সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ব্রিটেন ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান সমর্থন করে এবং তারা ফিলিস্তিনি ভূ-খণ্ডে বসতি স্থাপনকে অবৈধ মনে করে।

এক বিবৃতিতে মুখপাত্র বলেন, ‘তবে আমরা এ ব্যাপারে আরও স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, এই সংঘাতের ক্ষেত্রে বসতি স্থাপনই কেবল একমাত্র সমস্যা না।

মুখপাত্র আরও বলেন, বিশেষ করে ইসরায়েলের জনগণ সন্ত্রাসবাদের হুমকিমুক্ত জীবনযাপন করতে চায়।

ফিলিস্তিনি ভূ-খণ্ডে বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখায় ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণের একদিন পর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এমন মন্তব্য করা হলো। কেরি তার দেওয়া বক্তব্যে বলেন, ইসরায়েলের বসতি স্থাপন দেশটির ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় হুমকি।

ফিলিস্তিনি ভূ-খণ্ড বসতি স্থাপন করে ইসরায়েলিদের সেখানে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় কেরি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারকে দায়ী করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলি বসতিবিরোধী প্রস্তাবে ভেটো না দিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করে যুক্তরাষ্ট্র। এদিন ভেটো দেওয়ার পরিবর্তে ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয় ওবামা প্রশাসন। এ ধরনের প্রস্তাব থেকে ইসরায়েলকে বাঁচিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের প্রথা থেকে সরে আসে তারা।সূত্র: এএফপি।

/এএ/